চলমান এই দরপতনকে ধস হিসেবে আখ্যায়িত করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেন, ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটে এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তির ইস্যুতে দরপতন হচ্ছে বলে এতোদিন মনে করা হতো।
বৃহস্পতিবার দিনভর সূচক পতনের মধ্যদিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। এদিন ব্যাংক, প্রকৌশল, অর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমাসহ বেশির ভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার (১৭ মে) ১১ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৬২৪টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৪৯২ কোটি ৭৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৯৪ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৫৫ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৩০ দশমিক ১৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২৫ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ২৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৩৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদনে হয়েছিলো ২৩ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০টির, কমেছে ১৭৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ