বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক খাতসহ বেশিরভাগ খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় নেতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। তবে এটাকে দরপতন বলা যাবে না।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের তেজিভাবের মধ্য দিয়ে ডিএসইতে দিনের লেনদেন শুরু হয়ে চলে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত। এ সময় সূচক বাড়ে ২০ পয়েন্ট। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন। যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৮৮ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩৩ পয়েন্ট।
ডিএসইর তথ্যমতে, এদিন ১৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭১০টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৮৬ কোটি ৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭১১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮৫৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসইর তিন সূচকের মধ্যে প্রধান সূচক (ব্রড ইনডেক্স) আগের দিনের চেয়ে ৮৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৩৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৭৭ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ১৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।
অপর বাজার সিএসইর সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস