বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী অধিবেশনে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো তুলে ধরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সংসদে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন বিশ্ব বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণ। একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার ও অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। এর ফলে শিল্প, অবকাঠামো ও সেবাখাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাজারের অবদান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদে, স্টক এক্সচেঞ্জে স্মল ক্যাপ প্লাটফর্মের কার্যক্রম চালু করা, নতুন ফিক্সড ইনকাম ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্টসহ বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করা, ইফাইলিং থেকে শুরু করে সব জায়গায় ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সার্ভিল্যান্স ও তদারকি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জোরদারকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সুশাসন ও শৃংঙ্খলা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষার মৌলিক বিষয়গুলো অবহিত করা, বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তনের ফলে নিত্যনতুন বিষয়গুলো আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে কমিশনের কর্মচারীদের দেশে ও বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে দেশের পুঁজিবাজার সম্প্রসারণ ও গতিশীল করতে বাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণীত করবে বলে মনে করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য ডিএসই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, গতিশীল নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী সাহসী সিদ্ধান্তের পথিকৃত প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
বৃহস্পতিবার (২৮জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ডিএসই বিশ্বাস করে, সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজার আরো এগিয়ে যাবে এবং একটি শক্তিশালী বাজার গঠনের মাধ্যমে দেশের শিল্পোন্নোয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে৷
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ/এমজেএফ