এসবে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই হয়ে গেছে আট হাজার ৮৩০ কোটি নয় হাজার টাকা। এতে বিনিয়োগাকরীদের মধ্যে নতুন করে হতাশা আরও বেড়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, আলোচিত এই সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৫৪১ কোটি ৯৯ লাখ আট হাজার ৭১৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৬৫৭ কোটি ৪১ লাখ আট হাজার ৭৪৩ টাকা। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮৮৪ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৭৩ টাকা বেশি। শতাংশের হিসাবে ৩৩ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।
তিন সূচকে পথচলা ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএসই-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৫৯ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এই সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৯৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের।
এসবের ফলে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমে তিন হাজার ৪১ কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৫০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৬ টাকায়।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৭৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ছয় হাজার ২২৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯০ কোটি ৩২ লাখ পাঁচ হাজার ৩২ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৩টির, কমেছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির দাম বেড়েছিল ৯১টির, কমেছিল ১৭৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় সিএসইতে বিনিয়োগাকারীদের বাজার মূলধন পাঁচ হাজার ৭৮৯ কোটি ছয় লাখ টাকা নেই হয়ে তিন লাখ ১৩ হাজার ১১৯ কোটি আট লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৮
এমএফআই/টিএ