সোমবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় এক সঙ্গে ডিএসই ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এন ক্যাটাগরিতে কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়। কোম্পানি কোড নম্বর হলো ‘বিপিএমএল’।
এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৭২ টাকা দিয়ে শেয়ার কিনে ১৪০ টাকা বিক্রি করতে পারছেন। এতে তাদের প্রতিটি শেয়ারে ৬৮ টাকা লাভ হয়েছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৮০ টাকা দামে প্রতিটি শেয়ার কিনে ৬০ টাকা
লাভে প্রতিটি শেয়ার ১৪০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬২৬তম সভায় কোম্পানিটিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজার থেকে ২শ’ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকায় কোম্পানির যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রথম দফায় বিডিংয়ে বসুন্ধরা পেপার মিলসের কাট অফ প্রাইস হিসেবে ৮০ টাকা নির্ধারিত হয়। এ দামে কোম্পানি ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।
এরপর আইপিওতে ১০ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার ৭২ টাকা দামে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এ জন্য গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত আইপিও’র জন্য আবেদন করেন বিনিয়োগকারীরা। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের একটি শেয়ারের লট পেতে ৯ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়ে।
গত ৩০ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে আইপিও আবেদনের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ জুন কোম্পানির আইপিওর লটারিতে বরাদ্দ প্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়।
তারপর গত সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়। বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ার ট্রান্সফারসহ বাকি সব প্রক্রিয়া শেষ করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। আর কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ