বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের শেয়ারের দাম থাকার পাশাপাশি ব্যাংকের এডি রেশিও, সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানোর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিদায়ী বছর ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম-ওঠানামা করেছে। ফলে এ খাতের শেয়ারের কেনা-বেচা বেড়েছে।
ডিএসই’র তথ্য মতে, বিদায়ী (২০১৭-১৮) অর্থবছরে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৫ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৪ টাকা। এর মধ্যে বাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৩৯ হাজার ৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ২৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এর আগের (২০১৬-১৭) অর্থবছরে ডিএসইতে এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫৪ টাকার লেনদেন হয়েছিল। এর মধ্যে ব্যাংক খাতে হয়েছিল ২৪ হাজার ৭৪৬ কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯৭ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
পাঁচ মাস সূচকের উত্থান আর সাত মাস দরপতনের মধ্যদিয়ে পার হওয়া আলোচিত বছরে ২০ হাজার ১৬০ কোটি ৩৫ লাখ আট হাজার ৯২৬ টাকা লেনদেন হওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। যা শতাংশের হিসাবে লেনদেন হয়েছে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে এর আগের বছর লেনদেন হয়েছিল ২৭ হাজার ৪২৬ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
আগের বছর চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে ১৮ হাজার ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশে। বিদায়ী বছরে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে এই বস্ত্র খাতের শেয়ার।
অন্যদিকে, আগের বছর ২২ হাজার ৯০১ কোটি ৯৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮২ টাকা লেনদেন হওয়ায় তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতের শেয়ারে এই বছর লেনদেন হয়েছে ১৮ হাজার ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৬৭ টাকা। ফলে এ বছর চুতর্থ স্থানে নেমে গেছে এ খাত।
এছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। বিদায়ী বছরে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ৬৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরপর যথাক্রমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১১ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, খাদ্য ও বিবিধ খাতে ছয় হাজার ৭৩২ কোটি চার লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিবিধ খাতে ছয় হাজার ৫৬০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে চার হাজার ২৩৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তিন হাজার ৮১১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে তিন হাজার ৩৪৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ১০ শতাংশ, সিরামিক খাতে দুই হাজার ৮৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ট্যানারি খাতে দুই হাজার ৮০৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটে দুই হাজার ২৬৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে এক হাজার ৮৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে এক হাজার ৫১৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, পাট খাতে ৬৯৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে ৩০৭ কোটি তিন লাখ টাকা বা দশমিক ১৯ শতাংশ ও বন্ড খাতে ৫৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে দশমিক ০৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৮
এমএফআই/টিএ