বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের বেশির ভাগ সময় পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল ছিলো। সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে অধিকাংশ সময়।
ডিএসই’র তথ্য মতে, বিদায়ী (২০১৭-১৮) অর্থবছরে ব্রোকারেজ হাউজ ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডাররা ডিএসইতে মোট লেনদেন করেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৪ টাকা। এই দুই ধরনের লেনদেন থেকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ বিদায়ী অর্থবছরে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৬ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করেছে।
অথচ আগের (২০১৬-১৭) অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয় বাবদ সরকারকে দিয়েছিলো ২৪৭ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার টাকা।
দু’প্রকার লেনদেনের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪এর ৫৩ বিবিবি ধারা অনুযায়ী ব্রোকারেজ কোম্পানি থেকে উৎসে কর ১৫৯ কোটি ২ লাখ ৬ হাজার এবং আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪এর ৫৩এম ধারা অনুয়ায়ী স্পন্সর এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারের সিকিউরিটিজ বিক্রয় বাবদ ৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে।
এর আগে ব্রোকারেজ কোম্পানি থেকে উৎসে কর বাবদ ১৮০ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার এবং স্পন্সর ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারের শেয়ার বিক্রি বাবদ ৬২ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার টাকার রাজস্ব আয় করে ডিএসই।
সার্বিক বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর বাজার ভালো ছিলো না। তাই লেনদেন কম হয়েছে। আর লেনদেন কমার কারণে সরকারও রাজস্ব কম পেয়েছে। সরকার ও বিনিয়োগকারীর স্বার্থে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা জরুরি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস