এ খাতের শেয়ারের কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর সূচক ওঠা-নামা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১০ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। ফলে টানা তিনদিন দরপতনের মধ্য দিয়েই দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হলো।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বস্ত্র এবং ওষুদ ও রসায়ন খাতসহ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কেমেছে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত ১৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ১টির শেয়ার দাম।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় বড় ধরনের দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। এর আগের কার্যদিবস বস্ত্রখাতের ওপর ভর করে দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছিলো পুঁজিবাজার।
ডিএসইর তথ্য মতে, সরকারি ছুটি থাকায় রোববার লেনদেন বন্ধ থাকার পর সোমবার এ বাজারে ১৮ কোটি ৪১ লাখ ১১ হাজার ৪২৮টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনেদেন হয়েছে ৭০৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭২২ কোটি ৩৭ লাখ এক হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার।
সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্টের বেশি কমে পাঁচ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ৪ দশমিক ৭৭ পয়েন্টের বেশি বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ ইনডেক্স ১ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন করা কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ২০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইতে সার্বিক সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১২৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির শেয়ার। লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি ২৬ লাখ ৭ হাজার টাকা।
এর আগের দিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছিলো ৬৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এমআই/এমজেএফ