ডিএসইর সূত্র মতে, কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ার দায়ে গত ১৬ আগস্ট ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিংসহ ৫ কোম্পানির শেয়ায়ের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্পট মার্কেটে করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৫টি কোম্পানির মধ্যে কমিশন তদন্ত করে বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিংয়ের কোম্পানির কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পায়।
আর বিনিয়োগকারীরাও রোববার সকাল থেকেই ড্রাগন সোয়েটারসহ বাকি চার কোম্পানির শেয়ার কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ফলে ড্রাগন সোয়েটার ও মুন্নু সিরামিকের শেয়ারে বিক্রেতা সংকটের কারণে লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়। দিন শেষে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ টাকার বেশি।
একই দিন মুন্নু সিরামিকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৭০ টাকা। অর্ধেকের বেশি সময় বিক্রেতা সংকটে হলটেড ছিলো। এদিন শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৯৪ দশমকি ৬০ টাকায়। এর আগে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিলো ২৭০ দশমকি ৯০ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এ দুটি কোম্পানি ছাড়াও অস্বাভাবিকহারে দাম বৃদ্ধির দায়ে তদন্তাধীন থাকা কে অ্যান্ড কিউ, আজিজ পাইপস ও স্টাইলক্র্যাফট লিমিটেডের শেয়ারেরও বিনিয়োগকারীদের নজর ছিলো বেশি।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ’র শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস ছিলো ১৮৮ দশমিক ১০ টাকা আর বোরবার শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৯৫ দশমিক ৬০ টাকা।
১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির আজিজ পাইপস লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪০ টাকা। রোববার এ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৮০ দশমিক ৫০ টাকা। এর আগের কার্যদিবস সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিলো ১৬৪ দশমিক ১০ টাকায়। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে দাম বেড়েছে ৯ দশমকি ৯৯ শতাংশ।
এ ছাড়াও ১৯৮৩ সালে তালিকাভুক্ত স্টাইলক্র্যাফট লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২০ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৪ দশমকি ৫০ টাকা। রোববার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয় ২ হাজার ৭৮৫ টাকায়। এর আগের সর্বশেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৬৬৫ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআই/এসএইচ