বুধবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ৯ ধারার ৭ উপধারা ও ডিএসই লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ৫০ (১) অনুযায়ী ডিএসইর জরুরি পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
কোম্পানিটির করপোরেট উদ্যোক্তা সামিট করপোরেশন হঠাৎ করে গত ৪ নভেম্বর ১ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৫টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়।
আর এ খবরের দিন খুলনা পাওয়ারের শেয়ারের দাম কমে ১১১ দশমিক ৯০ টাকা থেকে নেমে আসে ১০২ দশমিক ৪০ টাকায়। এরপরের দিন (০৫ নভেম্বর) ৯২ দশমিক ৪০ টাকায় নেমে আসে। তবে ৬ নভেম্বর বেড়ে দাড়াঁয় ৯৮ দাঁড়ায় ৪০ টাকায়। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাজারে আস্থা ও তারল্য সংকট চলছে। ঠিক সেই মুহূর্তে খুলনা পাওয়ারের প্রায় ২ কোটি শেয়ার বিক্রি বাজারের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে। তাই সার্বিক বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা ভেবে লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, রেকর্ড ডেটের আগে কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা স্বাভাবিক লক্ষণ না। নিশ্চয় এর পেছনে কোন কারণ আছে। উদ্যোক্তাই যদি লভ্যাংশ নিতে না চায়, তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কেন নেবে।
তিনি বলেন, হয়তো খুলনা পাওয়ারের উদ্যোক্তারাই অসৎ উপায়ে শেয়ারটির দাম ৭০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় তুলেছে। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ৬ দশমিক ১৮ টাকা মুনাফা দেখানো হয়েছে, সেটাও হয়তো অতিরঞ্জিত। শেয়ার বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এসব কাজ করতে পারে। এমনটি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর তাদের কথা বিবেচনা করেই খুলনা পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও সভায় কোম্পানির শেয়ার ৭০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটি শেয়ারটির অস্বাভাবিক উত্থানে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ