বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ‘রাজদর্শন’ হলে কোম্পানিটির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা এ প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির উপদেষ্টা এ আর রশিদীর সভাপতিত্বে এজিএমে উপস্থিত ছিলেন- স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, কোম্পানির পরিচালক মো. ইমরুল হাসান, নাজমুল আলম ভূইয়া ও মো. আবু তাইয়েব, উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান এফসিএ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম এবং কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই এফসিএস-সহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকরা।
সভাপতির বক্তব্যে এ আর রশিদী বলেন, বসুন্ধরা পেপারের কাগজ আন্তর্জাতিকমানের। বসুন্ধরা পেপার মিলের উৎপাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় সামগ্রী গুণগতমানের হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে। দেশের পাশাপাশি ২৩টির বেশি দেশে তা রফতানি হচ্ছে। আর আইপিওর টাকায় মেশিনারিজ আমদানি করে কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। এ মেশিনারিজ দিয়ে উৎপাদন শুরু হলে আরো বেশি কাগজ ও সামগ্রী বাজারে সরবরাহ করতে পারবে বসুন্ধরা পেপার মিলস।
এ আর রশীদি আরো বলেন, কাগজশিল্প দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পখাত। দেশে এখন ছোট-বড় মিলিয়ে ১০০টির বেশি পেপার মিলস রয়েছে। এসব মিলের বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৫ লাখ টন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৬০ লাখ মানুষের জীবিকা দেশি কাগজশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এ শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে যা দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ।
সভাপতি বলেন, কাগজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে পাল্পের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে কাগজ ও কাগজ সামগ্রীর উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও বসুন্ধরা পেপার মিল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে।
সভায় কোম্পানির ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক বিবরণী, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী ও প্রতিবেদন অনুমোদন হয়। প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ পয়সা। নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমকি ১৮ পয়সা।
বার্ষিক সাধারণ সভায় ভালো লভ্যাংশ দেওয়ায় শেয়ারহোল্ডাররা সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ, ধারাবাহিক মুনাফা অর্জন ও কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ এবং রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগকে শেয়ারহোল্ডাররা স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮/আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা
এমএফআই/এমজেএফ