ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির আকারে তুলনায় আরো বেশি ভাল কোম্পানির আইপিও’র অনুমোদন প্রয়োজন।
ডিএসইর তথ্য মতে, পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষে ২০১৮ সালে একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মোট ১৪টি কোম্পানিকে আইপিও’র অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ কমিশন (বিএসইসি)। যা টাকার অংকে ৬০১কোটি টাকার মূলধন।
সংস্থাটির উদ্দেশ্য হলো, বিনা সুদে বাজার থেকে টাকা নিয়ে দেশের নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। তাতে বাড়বে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির আকার।
সুখবর হলো- গত বছর ও এবার অনুমোদন পাওয়া এ ধরনের ১২টি কোম্পানি এরই বাজারে তালিভুক্তও হয়েছে। এগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২১২কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। আইপিওর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে দু’টি কোম্পানি ২৩৩কোটি ১২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। বাকি কোম্পানিগুলো অভিহিত মূল্যে বাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করে।
কোম্পানিগুলো- বসুন্ধরা পেপার মিলস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ইন্ট্রাকো রি-ফিলিংস্টেশন, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান্ কটন ফাইবার, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, এমএল ডাইং, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, কাট্টালি টেক্সটাইল, এসএস স্টিল এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।
এর আগে ২০১৭ সালে দু’টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ মোট আটটি কোম্পানি আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে ২৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকার মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পায়। আর সেই সময়ে ১০টি কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৮৩৫ কোটি সংগ্রহ করে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচনী বছরে দু’টি কোম্পানি ১০ কোটি ৯৪ লাখ রাইট শেয়ার ছেড়ে ২৬৮কোটি ৫২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। তবে এর আগের বছর চারটি কোম্পানি ৮৬ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১ হাজার ১১৮কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলো। তার মধ্যে তিনটি কোম্পানিই প্রিমিয়াম বাবদ ২৪৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএফআই/এএটি