সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানিটি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায় মূল্যায়নকরেনি এবং দায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন আইডিআরএ কাছে জমা দেয়নি। যা বিমা আইন ২০১০-এর ৩০ ও৩২ ধারা লঙ্ঘন।
দুই ধরনের আইন লঙ্ঘনের মধ্যে ২০১০-এর ১৩০ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিবছরের জন্য ৫ লাখ টাকা করে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আর গত ৭ বছর ধরে ৩২ ধারা আইন লঙ্ঘন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য এ জরিমানা করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আইডিআরএ’র সদস্য ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, জীবন বিমা কোম্পানির জন্য দায় মূল্যায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই জীবন বিমা কোম্পানির দায় মূল্যায়ন করতে হয়। কোম্পানির পলিসি বোনাস, লভ্যাংশ দায় মূল্যায়নের ওপরই নির্ভর করে। কিন্তু বায়রা লাইফ সাত বছর ধরে দায় মূল্যায়ন না করে আইন লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য কোম্পানিটিকে জরিমানা করা হয়েছে।
বায়রা লাইফের বিরুদ্ধে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ না করা এবং নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়েও আমরা পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেব। তবে দায় মূল্যায়নের জন্য যে জরিমানা করা হয়েছে, সেটি একটি নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য।
তিনি আরও বলেন, শুধু বায়রা লাইফ নয়, অন্য যে কোম্পানিগুলোও নিয়মিত দায় মূল্যায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন কোম্পানি কোন সময় থেকে কোনসময় পর্যন্ত দায় মূল্যায়ন করেনি তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ