এর আগে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও রোববারও পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে পুঁজিবাজারে বিক্রয় চাপ বেড়ে যাওয়ায় সূচকের বড় পতন হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে বাজার বিশ্লেষক অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন। এজন্যই বাজারে সূচকের বড় পতন হয় বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এখন পর্যন্ত যে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে তারা বিদেশ থেকে এসেছে। এরপর কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। সুতরাং আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করাটা ঠিক নয়।
আতঙ্ক কেটে গিয়ে দুই একদিনের মধ্যেই বাজার স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে। ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকটি চালুর পর থেকে আজই সর্বোচ্চ পতন হয়েছে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরীয়াহ সূচক ৬৯ ও ডিএসই-৩০ সূচক ৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯২৯ ও ১৩৪৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের দিন থেকে ৭১ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২৮ কোটি টাকার।
ডিএসইতে এদিন ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে, কমেছে ৩৫২টির এবং একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে সোমবার টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণ ফোন, লাফার্জহোলসিম, সামিট পাওয়ার, সী পার্ল, ব্রাক ব্যাংক, অরিয়ন ইনফিউশন, ব্যাংক এশিয়া, ভিএফএস থ্রেড ডাইং ও ওরিয়ন ফার্মা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৭৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে চারটির, কমেছে ২৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটির দর।
এদিন সিএসইতে ৭০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫০ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এসএমএকে/এফএম