নতুন কমিশনের নেতৃত্বে রোববার পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, শেয়ারের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ ও নতুন কমিশনের বিনিয়োগবান্ধব ঘোষণা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।
শনিবার (৩০ মে) বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
নতুন কমিশনের নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সংকট ছিল তা অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে গত ১৭ মে গণমাধ্যমের কাছে সবধরনের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিনিয়োগবান্ধব পুঁজিবাজার গঠন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।
তার এমন ঘোষণাতে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে এ কমিশন কাজ করবে। অতীত কমিশনের ব্যর্থতাগুলোকে চিহ্নিত করে নতুন কমিশন কাজ করবে। এতে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলেও মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম বাংলাদেশকে বলেন, করোনার কারণে গত দুই মাস পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। এর আগে বাজারে আস্থা ও তারল্য সংকট দেখা দিয়েছিল। এটিকে কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির নতুন কমিশন যে বৈঠক করতে যাচ্ছেন সেটিকে আমি ইতিবাচক মনে করি। নতুন কমিশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করছে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিএসইসি কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে, যে পুঁজিবাজারে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ থাকবে। এখানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন কমিশনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হবে লিস্টেড কোম্পানিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। বিশেষ করে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন-শক্তিশালী ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করা। যারা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে, সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং স্পন্সর ডিরেক্টরদের প্রভাব মুক্ত থাকবে।
রকিবুর রহমান বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিএসইসি যত বেশি শক্তিশালী হয়ে আইনের সঠিক প্রয়োগ করবে, বাজারে সুশাসন কায়েম করবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, ম্যানিপুলেটরদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেবে, সার্কুলার ট্রেড বন্ধ করবে, লিস্টেড কোম্পানির স্পন্সর ডিরেক্টরদের ক্ষমতা খর্ব করবে, ম্যানেজমেন্টকে শক্তিশালী করবে ইনশাল্লাহ পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে এবং বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
এসএমএকে/আরবি/