ঢাকা: ফেব্রুয়ারিজুড়ে সূচকে পতন থাকলেও মার্চে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ ফেব্রুয়ারি-৪ মার্চ) পর্যন্ত ৫ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়ায় পুঁজিবাজারে ১৩৪৪ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। এরমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৫৬৭ টাকা বা ৫৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৮৩ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৪১ টাকা বা ৬৮ দশমিক ৫২ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৫৬৭ টাকা বা ৫৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৯ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ১৭০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১৩৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৯ টাকা বেশি হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরীয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে ১২৪৮ দশমিক ৬০ এবকং ২১১২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৯টির কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টির শেয়ার ও ইউনিটের দর।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৬ হাজার ১৪০ কোটি ১১ লাখ ৫৫৩ হাজার টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও শূন্য দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরি বা ভালো কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৬৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরি ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ‘জেড’ ক্যাটাগরি দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরি ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ অবদান ছিল।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ফার্মা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২০৬ কোটি ২২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮৩ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৪১ টাকা বা ৬৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি হয়েছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২৫ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৭৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬৮টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৭৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২১
এসএমএকে/এএটি