ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বয়ঃসন্ধি বিষয়ক কর্মশালা  

উপজেলা করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বয়ঃসন্ধি বিষয়ক কর্মশালা

 

গলাচিপা (পটুয়াখালী): বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বয়ঃসন্ধিকাল বিষয়ক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে সবুজ কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত মলয়।

 

সভায় আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বয়:সন্ধিকালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথি সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যাগুলো আমাদের সমাজে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু শিশুর মেধা বিকাশে সহায়ক না হলে বিপত্তি ঘটতে পারে। তাই এ সময়টায় অভিভাবকদের সচেতনতা আবশ্যক। একই সঙ্গে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের মতো বিশেষ শিশুরাও এ সমস্যাটির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সাধারণত ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে তাদের ধরণের পরিবর্তন আসতে থাকে। শারীরিক,  প্রজননতন্ত্র, গলার স্বর, মানসিক এবং আচরণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের বয়ঃসন্ধিকালের এসব পরিবর্তনগুলো সামলানোর জন্য অবশ্যই মা-বাবার প্রস্তুতির দরকার হয়। সাধারণত ১০ বছরের আগেই শারীরিক বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন চলে আসে। এ সময় ছবি দেখিয়ে বা গল্পের মাধ্যমে শিশুর শারীরিক পরিবর্তন বোঝাতে হবে। শরীরের স্পর্শকাতর অংশের নাম বলতে হবে এবং শেখাতে হবে। যাতে কেউ স্পর্শ বা টাচ না করতে পারে সে ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। এছাড়াও পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মেয়ে শিশুটি যেন তার পিরিয়ডের দিনগুলোতে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে, সেজন্য তাদের ভিডিও বা ছবি ব্যবহার করে মাকে বা শিশুর সহায়তাদানকারীকে শেখাতে হবে।

এসময় অন্য বক্তারা বলেন, বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের সঙ্গে ভাষা ব্যবহারেও সাবধানতাও অবলম্বন করতে হবে এসময়। কারণ তারা খুব অল্পতেই প্রতিক্রিয়া দেখায়। বয়ঃসন্ধিকালের এ সময়ে সাধারণত তাদের মধ্যে চ্যালেঞ্জিং বিহেভিয়ার বা আগ্রাসী আচরণ বেড়ে যায়। পরিবার থেকে সাহায্য করতে হবে।  

তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুই আলাদা, সবার যে একই ধরনের সমস্যা থাকবে বয়ঃসন্ধিকালে তা নয়। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সঙ্গে থাকতে হবে। বাবা-মা তাদের শিশুদের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করবেন, দুর্বলতাগুলো কোথায় তা বোঝার চেষ্টা করবেন। সে কীভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে তা দেখে সমাধান করার চেষ্টা করবেন। না পারলে অবশ্যই অভিজ্ঞ বা চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। শিশুদের বয়ঃসন্ধিকালের সময়টিকে সামলানো বাবা-মার জন্য কঠিন হয়ে যায়, এটা খুবই স্বাভাবিক। আমরা কখনোই এ ব্যাপারটিকে অবহেলা করব না, খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখব।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ পটুয়াখালী জেলা সমন্বয়কারী সাইমুন রহমান এলিট,  আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক গোলাম মস্তফা, সহকারী শিক্ষক শিউলী রাণী ধর, সজল চন্দ্র রায়, শুভসংঘের নির্বাহী সদস্য মাজহারুল ইসলাম ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।