মোবাইল ফোন বা ভিডিও গেমসের আসক্তি মাদকের মতোই ভয়াবহ। মস্তিষ্কের কোষ থেকে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ হয়ে ভার্চ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্টের প্রতি ভালোলাগার অনুভূতি সঞ্চার করে যাকে আমরা আসক্তি বলতে পারি।
মোবাইল ও ভিডিও গেমসে আসক্তি শিশুর শৈশবের আনন্দ ও শারীরিক মানসিক গঠনকে ব্যাহত করছে। ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক মাধ্যমে এখন আমাদের অনেকটা অসামাজিক করে তুলছে। পরিসংখান বলছে প্রযুক্তির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। এখন আর আগের মত খেলার মাঠে নেই শিশুরা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও বাড়ছে দূরত্ব।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা পৌর এলাকার ৪৩ নং হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের মাঠে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ও ভিডিও গেমসে আসক্তির কুফল জানিয়ে হারানো দিনের খেলা ও শরীর চর্চার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন সম্পন্ন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ নেত্রকোনা জেলা শাখা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা কমিটির উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের নেত্রকোনা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মহসিন, বসুন্ধরা শুভসংঘ নেত্রকোনা জেলা শাখা সভাপতি ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের নেত্রকোনা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, মানবিক ছাত্রনেতা শাহরি রহমান সাঈদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মোহনা সরকার ছোয়া, কার্যকরী সদস্য মাশিয়া রহমান, মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া, শুভন সরকার প্রমুখ।
জেলা শাখার উপদেষ্টা মনিরুজ্জামান মহসিন বলেন, শিশুদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক খেলা। খেলার মাঠে এখন আর শিশুদের ছোটাছুটি চোখে পড়ে না। শিশুরা সারাক্ষণ মোবাইল ফোন বা ভিডিও গেমসে চোখ আটকে রাখায় ভয়াবহ ক্ষতি সিঁধ কাটছে গোপনে।
জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় ও প্রযুক্তির বিকাশে হারিয়ে যাচ্ছে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা। আমরা শিশুদের আনন্দের এক রঙ্গিন শৈশবে ফিরিয়ে নিতে চাই। তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি কানামাছি, দাঁড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি, ফুটবল, গোল্লাছুট, চারগুটি, লাঠি খেলা, লং জাম্প, সাত পাতা, ফুল টোক্কা, মোরগ যুদ্ধ, হাডুডু, ঘুড়ি ওড়ানোর মতো খেলাগুলোর সাথে। সেই সাথে শরীরচর্চার উপকারী দিক তুলে ধরে শেখানো হয়েছে কিছু ড্রিল। আমরা আশা করছি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অভিভাবকরা সচেতন হবেন এবং তাদের সন্তানদের খেলার মাঠে পাঠাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক