কি আছে এই রুমে যে এতো ভাড়া, আর থাকেনইবা কারা। এশিয়ান জার্নালিজম ফেলোশিপের অংশ হিসেব মেরিনা বে সেন্ডস ঘোরানো হলো গত বুধবার।
মূত্রকে পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর
সায়েন্স সিটি ঘোরা শেষে মেরিনা বে সেন্ডসের টপ ফ্লোরে গন্তব্য। তিনটি ষঢ়ভূজাকৃতির ভবনকে ছাদে সংযুক্ত করেছে একটি জাহাজ আকৃতির স্থাপনা। লিফটে চুয়ান্ন তলা বাইতে ৩০ সেকেন্ডের মতো সময় লাগলো। ওপরে উঠে চোখ ছানাবড়া।
মেরিনা বে'র গ্লোবাল মিডিয়া কমিউনিকেশনের সহযোগী পরিচালক সারিনা পুসাকার্না বললেন, দুনিয়ার সবচেয়ে দামি রুমগুলোর একটি দেখানো হবে। এটা মেরিনা বে সেন্ডসের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটস। এটা সবসময় ভাড়া হয় না। সপ্তাহে দুই বা তিনদিন ভাড়া হয়।
স্বাভাবিক হোটেল রুমের মতোই দরজা। তবে সেটা ঠেলে ভেতরে ঢুকলে চোখ ছানাবড়া। হাতের বামে একটি পিয়ানো রাখা রয়েছে। পিয়ানোর পরেই যেন বিস্তৃত সমুদ্র। স্বচ্ছ জানালা দিয়ে তাকালে মনে হবে আকাশ আর সাগরের মাঝে অবস্থান। চাইলে আকাশকে ছোঁয়া যাবে, সাগরের বুকেও ঝাঁপ দেয়া যাবে।
এই রুমে বিশাল আকৃতির সোফা, কয়েক ধরনের চেয়ার আর টেবিল দিয়ে ছোট ছোট গ্রুপে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই ফ্ল্যাটে একটি রুম থেকে আরেকটি রুম খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়। বিছানা রয়েছে দুটি রুমে। একটিতে কুইন সাইজ বেড, আরেকটিতে টুইন বেড। রয়েছে যন্ত্রপাতিসহ জিমনেশিয়াম, ম্যাসাজের জন্য আলাদা রুম, বিরাট কিচেনই যেন ছোটখাট একটা মিটিং রুম। সঙ্গের ডাইনিং রুমকে কনফারেন্স রুম বলা যায়।
চললাম মাস্টার বেড দেখার জন্যে। এখানে রাতে শুয়ে পুরো দেয়ালের জানালা দিয়ে তাকালে হয়তো মনে হবে, আকাশে তারাদের অনেক কাছাকাছিই রয়েছি।
সারিনা জানালেন, এই রুমের দাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম। তবে ১৩ হাজার ডলার থেকে শুরু করে পনেরো হাজার ডলারে ওঠানামা করে। যা টাকায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা। তিনি বলেন, সামনে এফওয়ান রেসের আগে পরে কয়েকদিন এই রুমের দাম আরো বেড়ে যাবে।
এখানে থাকে কারা? জানতে চাইলে বলেন, কিছু সময় সেলিব্রেটিরা এখানে থাকেন। টম ক্রুজ, শাহরুখ খান বা রোনাল্ডোর মতো দামি খেলোয়াড়রা এখানে থাকেন কখনো কখনো। এছাড়া আরব ধনকুবেররা এখানে থাকেন বেশিরভাগ সময়।
যেন আকাশে সুইমিং পুল
এই সুইমিং পুলে যেতে হলে চুয়ান্ন তলা থেকে ঊনষাট তলায় যেতে হবে। সেখানে যেন আকাশের বিস্তীর্ণে এই দীর্ঘ সুইমিং পুল। দেখে মনে হয় সুইমিং পুল উপচে পানি বুঝি সিঙ্গাপুর শহরের বুকে পড়ে।
এই হোটেলে না থাকলেও ভিজিটর হিসেবে টিকিট কেটে এই সুইমিং পুল দেখতে যাওয়া যায়। তবে সেখানে পানিতে নামা যায় না। পানিতে নামতে হলে এই হোটেলের বাসিন্দা হতে হবে।
সুইমিং পুলে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে আর বার। তবে সবকিছুর জন্যেই আলাদা আলাদা পে করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৭
এমএন/জেডএম