ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্পেন

থাইল্যান্ড থেকে জেসমিন পাপড়ি

পেশাদারি মনোভাবের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
পেশাদারি মনোভাবের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Jasmin_papri_1পাতায়া (থাইল্যন্ড) থেকে: আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগের চেয়ে সফলতার পথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিভিন্ন রুটে অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে চলেছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটি।



পেশাদারি মনোভাব ও বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান বিমানের থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের কান্ট্রি ম্যানেজার এএসএম নজরুল ইসলাম।  

থাইল্যান্ডের পাতায়া শহরে বসে আলাপকালে তিনি বাংলানিউজকে জানান বিমান নিয়ে অনেক আশার কথা।

গত ৩০ বছর ধরে বিমানে কর্মরত এই কর্মকর্তা বলেন, নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত হওয়ায় বিমানের সেবার মান বেড়েছে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা যাত্রীরাও পছন্দ করছেন।

একইসঙ্গে কমেছে জ্বালানি খরচও। তাই বলা যায়, বিশ্বের অনেক রুটেই বাংলাদেশ বিমান অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-ব্যাংকক রুট অন্যতম।  

তিনি বলেন, আগে পুরনো এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করতো বিমান। সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যেমন বেশি ছিলো, তেমনি সেবার মানও ততটা ভালো পেতেন না যাত্রীরা। এখন সে চিত্র বদলেছে। নির্দিষ্ট সময়সূচি মানার বিষয়টিও হচ্ছে, যা আগে অতটা ছিলো না।  

বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশ বিমানের বিরুদ্ধে যাত্রীদের অভিযোগের প্রথম সারিতে ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়া।

২০১৩ সালে তিন দেশের কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়ে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ভিয়েতনাম বা লাওসে ফ্লাইট চালু হয়নি। পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না থাকাই অন্যতম কারণ। এখন ব্যবসার কাজে সামান্য কিছু ব্যবসায়ী বা ট্যুরিস্ট যাতায়াত করলেও এ দু’টি দেশে শিগগিরিই বিমানের ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা নেই।

তবে ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক ঢাকা-ব্যাংকক রুটটিতে এগিয়ে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ রুটে বিমানের কেবিন ফ্যাক্টর ছিলো ৯০ শতাংশ।

অর্থাৎ, বিমানের প্রতিটি ফ্লাইট ছিলো যাত্রী পরিপূর্ণ। তাই লাভটাও বেশি বলা যায়।

এই কর্মকর্তা জানান, কিছুদিন আগে এ রুটে চারটি ফ্লাইট চললেও শীতকালীন শিডিউলে পাঁচটি ফ্লাইট চালাচ্ছে বিমান। দু’দেশের সমবোঝা অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে মোট ১৪টি ফ্লাইট চালাতে পারে। বাংলাদেশ বিমান ছাড়া বাকি ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করছে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট ও ইউনাইটেড।

যাত্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে পণ্য পরিবহনের জন্যও ঢাকা-ব্যাংকক রুট ব্যবহার হয়ে আসছে।

এর আগে কুয়েতে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, বিমান বাংলাদেশ যদি এই বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারে তাহলে আরও এগিয়ে যাবে। তবে একে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের আরও বেশি জাতীয়তাবোধের পরিচয় দিয়ে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে মুখ না ঘুরিয়ে তাকে ব্যবহার করতে হবে।

তবে পর্যটকদের প্রিয় শ্যামদেশে কর্মরত এই কান্ট্রি ম্যানেজার খানিকটা আফসোস করে বলেন, সৌন্দর্যপিপাসুদের ক্ষুধা মেটানোর মতো সম্পদ বাংলাদেশেও রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্টসহ আরও কত না সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে পুরো দেশজুড়ে। কিন্তু পর্যটক আকর্ষণে সেসবের প্রচার নেই। নেই নিজেদের এসব সম্পদকে পর্যটক উপযোগী করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগও।

ট্যুরিস্টদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ করতে পারলে থাইল্যান্ডে আসা পর্যটকদের একটি বিরাট অংশসহ বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের গন্তব্য হবে বাংলাদেশ। এতে বিমান বাংলাদেশসহ দেশের এয়ারলাইন্সগুলোও আরো লাভবান হবে।

সবশেষে সবাইকে সুলভে বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
জেপি/এএ

** সততা আর পরিশ্রম সফল করেছে যাদের

** থাইল্যান্ড থেকে জেসমিন পাপড়ি
** থাই রাজার জন্য বাংলাদেশের প্রার্থনা
** রাজার জন্য যতো ভালোবাসা!
** থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিদের ‘শক্তি’
** রেন্টে বাইক!
** গাড়ির হর্নবিহীন শহর
** সময়ানুবর্তী রিজেন্ট এয়ার
** কলম দেখলেই এগিয়ে আসেন তারা!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্পেন এর সর্বশেষ