ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন রামোস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন রামোস

বহুবার দলের বিপদের কাণ্ডারি হয়েছেন। রক্ষণে লড়েছেন দৃঢ়চিত্তে।

দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুঃসময়ে। হার না মানার মানসিকতা সের্হিও রামোসকে তুলেছে ইতিহাস সেরাদের কাতারে। এবার অবশ্য বিদায়টা মেনে নিতেই হচ্ছে স্পেনের এই তারকাকে। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

দেশের হয়ে দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে রামোসের ট্রফি ক্যাবিনেটে ছিল একটি বিশ্বকাপও। স্পেনের হয়ে রেকর্ড ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার।

বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের কথা জানান রামোস।

দীর্ঘ বিদায়ী বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সময় চলে এসেছে। সময় এসেছে জাতীয় দলকে বিদায় বলার, লা রোহাকেও। আজ সকালে আমি বর্তমান হেড কোচের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছি। তিনি বলেছেন—আমি তার পরিকল্পনার অংশ নই, ভবিষ্যতেও হবো না—আমি যেমন পারফর্মই করি অথবা ক্যারিয়ারে যা কিছুই অর্জন করি না কেন। ’

‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এমন এক পথের শেষ করছি—আমি আশা করেছিলাম, যেটা আরও দীর্ঘ হবে এবং আরও ভালো মুখে বিদায় বলতে পারবো, লা রোহার হয়ে যা অর্জন করেছি সেসবকে সঙ্গী করে। ’

রামোসের বয়স ৩৬ হয়ে গেছে। তারুণ্য নির্ভর স্পেন দলে জায়গা তার হচ্ছিল না বেশ কিছুদিন ধরেই। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন না। বয়স বিবেচনায় বাদ দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিজের অভিমানের কথাও বিদায়ী বার্তায় জানান রামোস।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, এই যাত্রা আমার পছন্দে অথবা আমার পারফরম্যান্স জাতীয় দলের জন্য যখন যথেষ্ট হবে না তখন শেষ হতে পারতো। বয়সের বা এমন কোনো কারণে নয়, যেটা আমি সরাসরি শুনতে পারবো না। ’

‘বয়স কোনো গুণ বা দোষ নয়, এটা কেবলই সংখ্যা যার পারফরম্যান্স বা সামর্থ্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। আমি তারিফ ও হিংসা করি মদ্রিচ, পেপে ও মেসির মতো খেলোয়াড়দের; তারা ঐতিহ্য, মূল্যায়ন, গুণতন্ত্র ও ফুটবলের ন্যায়বিচারের সারমর্ম। দুর্ভাগ্যবশত আমার জন্য ব্যাপারটা তেমন হয়নি কারণ এটা সবসময় সঠিক না ও ফুটবল কখনোই শুধু ফুটবল না। ’

যদিও সবকিছু মেনে নিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রামোস, ‘এটা এমন কিছু, আমাকে মেনে নিতে হবে। যদিও কষ্ট নিয়ে আপনাদের খবরটা জানাচ্ছি কিন্তু একই সঙ্গে আমার মাথা উঁচু আছে, এতগুলো বছর ধরে আপনাদের সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি, আমাদের জয়ের জন্য লড়া ও একসঙ্গে উদযাপন করা শিরোপাকে সঙ্গী করে এসেছি। একই সঙ্গে গর্ববোধ করি স্পেনের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় হওয়ায়। ’

‘এই ব্যাজ, জার্সি ও সমর্থকরা, আপনারা সবাই আমাকে আনন্দ দিয়েছেন। আমি আমার দেশকে সমর্থন দিয়ে যাবো ১৮০ ম্যাচ খেলা সৌভাগ্যবান হওয়ার প্যাশন নিয়ে। এত বছর ধরে বিশ্বাস করা সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। ’

৩৬ বছর বয়সী রামোস আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা রাখেন কেবল ১৮ বছর বয়সে। এছাড়াও স্পেনের ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। দলকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্বেও দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩ 
এমএইচবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।