ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

জুনিয়র বিশ্বকাপে চোখ বাংলাদেশের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
জুনিয়র বিশ্বকাপে চোখ বাংলাদেশের প্রিন্স লাল সামন্ত

গত বছর জুনিয়র এইএইচএফ কাপ অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার চূড়ান্তপর্বে ভালো খেলে জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছে লাল-সবুজের দল।

চূড়ান্ত পর্ব থেকে সেরা চার দল খেলবে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে।

আগামী ২৩ মে থেকে ওমানে চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে। আসরে অংশ নেবে দশটি দেশ। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ওমান, উজবেকিস্তান, চাইনিজ তাইপে এবং থাইল্যান্ড।  

এএইচএফ কাপকে সামনে রেখে গত ৬ মার্চ থেকে অনূর্ধ্ব-২১  দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়েছে। গত আসরের মতো এই আসরেও চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ। তবে বাস্তবতার বিচারে তেমনটা কঠিনই মানছেন বাংলাদেশের কোচ আ ন ম মামুনুর রশিদ।  

তিনি বলেন, ‘আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তবে সেখানে ভারত-মালেয়শিয়ার মত দল খেলবে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হতে পারাটা সহজ হবে না। তবে আমরা সেরা চারে থেকে বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে আশাবাদী। ’

বাংলাদেশ দলের কোচ আ ন ম মামুনুর রশিদ জানান চূড়ান্ত পর্বে ভালো খেলার জন্য ভারত ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ অ-২১ দলের ক্যাম্প। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত পর্বে ভালো ফল করে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) একটি পরিকল্পনা করেছে। সে অনুযায়ী এ মাসের ১২ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে ভারতের হরিয়ানা ও জলন্দরে যাব। ২৫ দিনের সফরে সেখানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দলের সঙ্গে ১৪-১৫টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দলের ছেলেরা ভালো খেলোয়াড়। তবে ওদের একটু ম্যাচ প্রস্তুতি দরকার। ভারত থেকে ফেরার পর আমরা আরও ১৫-২০ দিন অনুশীলন করবো। তারপর চূড়ান্ত পর্ব খেলা শুরুর ৩-৪ দিন আগে ওমানে যাবো। ’ 
প্রাথমিক দলে ৩৪ খেলোয়াড় ছিলেন। পরে চার জনকে বাদ দেয়া হয়। এখন দলে আছে ৩০ জন। ভারত সফরে ২০-২১ খেলোয়াড় যাবেন। আর ওমানে যাবে ১৮ খেলোয়াড়।  

অ-২১ দলের দলের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় প্রিন্স লাল সামন্ত। পুরান ঢাকার ছেলে ক্লাব পর্যায়ে মোহামেডানের হয়ে মাঠ মাতানো প্রিন্স জাতীয় বা সিনিয়র দলেও খেলেছেন। এই দলে (জুনিয়র) তিনি সবার সিনিয়র। ওমানের সঙ্গে সিরিজেও ছিলেন।

প্রিন্স বলেন, ‘আমরা এএইচএফ এশিয়া কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সেই দলটাই এখানে আছে। সেখানে ভালো ফল করার পর আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে ক্যাম্প করছি। তাছাড়া এখানে প্রায় সবাই বিকেএসপির খেলোয়াড়। ফলে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। ’ 

ভারতে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে প্রিন্সে বলেন, ‘অনুশীলন ম্যাচ খেলার কোনও বিকল্প নেই। আমরা যত অনুশীলন ম্যাচ খেলবো তত বেশি নিজের ভুল শুধরে নেয়ার সুযোগ পাবো। আমাদের আত্মবিশ্বাস তত বাড়বে। জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করতে চাই আমরা। আমরা লম্বা পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আগে লক্ষ্য নিয়েছিলো এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করার। এরপর আমরা বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করতে চাই। এর আগে বাংলাদেশ জুনিয়র এশিয়া কাপে খেলেছে তবে জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলেনি। এবার আমরা জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলতে চাই। ’  

অন্যান্য ক্যাম্পের চেয়ে এবারের ক্যাম্পে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রিন্স। এবার তাদের ক্যাম্পে আছেন গোলকিপিং কোচ, ভিডিও অ্যানালিস্ট কোচ, ফিজিও, ম্যাসাজম্যান। প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের কারো পেশিতে কোনও সমস্যা মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন। আগের তুলনায় এবারের সুযোগ-সুবিধা বেশি পাচ্ছি। এর আগে জুনিয়র টিমের জন্য এতকিছু ছিল না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।