শুরুতে উইকেট হারিয়ে ফরচুন বরিশাল ছিল বেশ বিপদে। ১৯ রানে নেই তিন উইকেট।
শনিবার বিপিএলের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪৬ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে বরিশাল। রান তাড়ায় নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। ৭ ম্যাচে এ নিয়ে চতুর্থ জয় পেলো বরিশাল। ৯ ম্যাচে অষ্টম হারে রেকর্ড গড়েছে ঢাকা।
২০১২ সালের বিপিএলে টানা সাত ম্যাচ হেরেছিল সিলেট রয়্যালস। এবার তাদের এই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারানোর পর এখন অবধি আর কোনো ম্যাচ জেতেনি তারা। এর বাইরে ২০১৭ সালে সিলেট সিক্সার্স ও ২০২২ সালে সিলেট সানরাইজার্স টানা আট ম্যাচ জয় বঞ্চিত ছিল, তবে তারা হারেনি। মাঝে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। টানা আট হারে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ঢাকার।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুবই বাজে হয় ফরচুন বরিশালের জন্য। কেবল ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ১ বাউন্ডারিতে ৪ বলে ৪ রান করে প্রথমে শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন তামিম ইকবাল। এরপর ৮ বলে ১০ রান করা আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ।
বরিশালের বিপদ আরও বাড়ে ৩ বলে ১ রান করা মুশফিকুর রহিমকে তাসকিন বোল্ড করলে। ১৯ রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল এরপর ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। এ দুজনই খেলেন দুর্দান্ত। ৮৫ বলে তাদের জুটি ছিল ১৩৯ রানের। শরিফুলের বলে আউট হন রিয়াদ। তার গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপারের হাতে বল গেলেও কেউ বুঝতে পারেননি।
কিন্তু উইকেটরক্ষক তাহজিবুল ইসলাম উইকেটের পেছন থেকে আবেদন করেন। রিভিউ দেখে রিয়াদকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। শেষদিকে ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ঢাকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
রান তাড়ায় নেমে কখনোই সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। ফরচুন বরিশালের বোলাররা সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দলটির হয়ে অনেকটা একাই লড়াই করেন অ্যালেক্স রস। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩০ বলে ৫২ রান করেন তিনি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ২৮ রান করেন মেহরব হোসেন। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে কেবল ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এমএইচবি/এফআর