ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

জার্মানি-অস্ট্রিয়া যাচ্ছে জিমি-চয়নরা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
জার্মানি-অস্ট্রিয়া যাচ্ছে জিমি-চয়নরা ছবি: সংগৃহীত

৩২ বছর পর দেশে এশিয়া কাপের আয়োজন হচ্ছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানো, ট্যাকটিস নিখুত করতে জিমি-চয়নদের ইউরোপের দুই দেশ জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)।

দুই মেয়াদে দেশের ৩০ হকি খেলোয়াড় এই দু'দেশের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন।

এতে করে খেলোয়াড়দের এশিয়া কাপের প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন জিমি-আশরাফুলরা।

তবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে নারাজ খেলোয়াড়রা।

ইউরোপে প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে বাহফের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক বাংলানিউজকে জানান, ‘তারা সেখানে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলবে- প্রাকটিস করবে। দেশের মাটিতে প্রায়ই দেখা যায় ছেলেরা প্রাকটিসের সুযোগ পায় না। ওখানে গেলে এই সমস্যাটা থাকবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো এশিয়া কাপের আগে তারা আরো বেশি অভিজ্ঞ হয়ে ফিরবে। যেটি কাজে লাগবে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের আসরে। ’

২০১০ সালে খন্দকার জামিলের সময়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা প্রথম সুযোগ পান ইউরোপে যাওয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইউরোপে বড় সফর। আব্দুস সাদেক জানান, ‘এটি শুধু ৩০ খেলোয়াড়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাচ্ছি না। আরো বেশিও হতে পারে। ইউরোপের হকি ক্লাবের ইনভাইটেশন (আমন্ত্রণপত্র) দেখে আমরা অনাপত্তিপত্র দিচ্ছি। এখানে ফেডারেশনের কোনো টাকা খরচ হচ্ছে না। ’

জিমি-চয়নদের জার্মানি ও অস্ট্রিয়া যাওয়ার সুযোগটা এসেছে জাতীয় হকি দলের জার্মান কোচ অলিভার কার্টজের হাত ধরেই। তিনি এ বিষয়টা নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। তাতে, ফেডারেশনের কোনো খরচও হচ্ছে না।

অলিভার কার্টজ জানান, 'আমি চাচ্ছি বাংলাদেশের হকি একটা ভালো অবস্থানে যাক। অনেকে এটিকে ভিন্ন চোখে দেখে থাকে। যেদিন বাংলাদেশ সুফল পাবে- সেদিন সবাই ভালো বলবে। জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় বিভিন্ন ক্লাবে গিয়ে তারা খেলবে, প্রাকটিস করবে। পাশাপাশি আমি তাদেরকে নিয়ে একসাথে অথবা বিভিন্ন ক্লাবে গিয়ে ইন্ডিভিজুয়াল প্রাকটিস করাবো। তাতে ছেলেরা নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবে। ওদের সাথে প্রাকটিস ম্যাচ খেলে নিজেদের ভয় দূর করতে পারবে। দুই ধাপে যাবে খেলোয়াড়রা। জুন-জুলাইতে সবাই ঢাকায় ফিরলে জাতীয় দলের ক্যাম্প করতে সুবিধা হবে। এশিয়া কাপের আগে এটি আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করবে। আমি চাইবো ওখানের লোকাল ক্লাবগুলো থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করে নিতে। ’

দুই মেয়াদের ৩০ জন খেলোয়াড় দুই দেশে যাবেন। সব ক্লাবেই যে সমভাবে মূল্যায়ন পাবেন তেমন বিষয় নেই, এটি নির্ভর করছে ক্লাবের আর্থিক স্বচ্ছলতার উপর। কেউ কেউ আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়াও পেতে পারেন।

ইউরোপ সফর শেষে জুন-জুলাইয়ের দিকে দেশে ফিরবেন জিমিরা। এসেই আবার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নেবে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ ২০১৭ 
জেএইচ/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।