ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

দিয়েগো - সবসময় আমাদের হৃদয়ে: নাপোলি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
দিয়েগো - সবসময় আমাদের হৃদয়ে: নাপোলি নাপোলিতে ম্যারাডোনার আনুষ্ঠানিক পরিচয়ের দিন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রায় ৭৫ হাজার দর্শক ও সমর্থকের সামনে নিজেদের সর্বকালের সেরা রত্নটিকে প্রথমবারের মতো হাজির করেছিল নাপোলি। আজ সেই রত্নের চিরবিদায়ে হতবাক ইতালিয়ান সিরিএ লীগের দল এসএসসি নাপোলি।

তবে দিয়েগো সবসময় নাপোলি এবং নাপোলি সমর্থকদের হৃদয়ে থাকবে জানিয়ে ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ক্লাবটি।  

ক্যারিয়ারে সবসময় নানান বিতর্ক এবং আলোচনায় থাকা দিয়েগো ম্যারাডোনা যেন সব গুঞ্জন থামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। দলটির নীল জার্সিতে খেলা ম্যারাডোনাকে নীল হৃদয়ে স্মরণ করে ক্লাবটি নিজেদের টুইটারে লিখেছে, "সবসময় আমাদের হৃদয়ে। দেখা হবে দিয়েগো"।  

নিজেদের আরেকটি টুইটে ক্লাবটি লিখেছে - " পৃথিবী অপেক্ষায় আছে আমাদের প্রতিক্রিয়া শোনার জন্য কিন্তু যে বেদনার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি সেই বর্ণনা দেওয়ার মতো কোন শব্দ আমাদের কাছে নেই। এখন শোক পালনের সময়। দিয়েগো"।  

১৯৮৪ সালে স্প্যানিশ ফুটবল জায়ান্ট বার্সালোনা ছেড়ে নাপোলি'তে আসেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তাও আবার সে সময়ের রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি প্রায় সাড়ে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে। সে বছরের ৫ জুলাই সান পাওলো স্টেডিয়ামে  নাপোলি ভক্তদের সামনে হাজির করা হয় ম্যারাডোনাকে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সালে ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের কারণে ১৫ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাবটিতে নিজের ক্যারিয়ারে স্বর্ণালি সময় পার করেন দিয়েগো।  

আবার একইসঙ্গে নাপোলি'কেও সেসময়ের সাফল্যের শেষ চূড়ায় নিয়ে যান ম্যারাডোনা। একবারও সিরিএ শিরোপা না জেতা নাপোলিকে দুই দুই বার সিরিএ শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেন; ১৯৮৬-৮৭ এবং ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে। এছাড়াও অন্তত দুই বার ম্যারাডোনার নেতৃত্বে লীগের রানার্স আপ হয় নাপোলি; ১৯৮৭-৮৮ এবং ১৯৮৮-৯৯ মৌসুমে। বলা যায়, এক রকম ম্যারাডোনা ম্যাজিকে ইতালির দক্ষিণের ক্লাব হিসেবে সবসময় আন্ডারডগ থাকা নাপোলি পুরো ইউরোপে নিজের প্রভাব ফেলতে শুরু করে।  

১৯৯১ সালের দিকে অবশ্য ক্লাবটির সঙ্গে অফিসিয়াল সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে ম্যারাডোনার। নিজের মাদক সেবন এবং বিষণ্ণতার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারায় বেশ কয়েকটি ম্যাচ ও দলের প্র্যাকটিসে অংশ নিতে পারেননি ম্যারাডোনা। এর জন্য ক্লাবটি তাকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানাও করে। তবুও ক্লাবটির সাথে সবসময় এক আত্মার সম্পর্ক ছিল হ্যান্ড অব গড এর মালিকের।  

ম্যারাডোনা বেঁচে থাকতেও তার প্রতি উষ্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েছে ক্লাবটি। ২০১১ সালে নিজেদের ১০ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠায় নাপোলি। এই ১০ নম্বর জার্সি পরেই মাঠে নামতেন দিয়েগো। কোন খেলোয়াড়ের জন্য কোন দল বা ক্লাবের এটিই সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তবে ম্যারাডোনার অনুরোধেই আবার ২০১৩ সালে ১০ নম্বর জার্সিকে মাঠে ফেরানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টাম নভেম্বর ২৬, ২০২০
এস এইচ এস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।