ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

ফাইনালি বিউটি ফিরলেন!

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪
ফাইনালি বিউটি ফিরলেন! ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিউটি দাশের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাহাড়ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে থাকা চট্টগ্রামে। বন্দরনগরীর জুবলি রোডে তার বেড়ে ওঠা।



বাবা সুবল কান্তি দাশ ছিলেন চট্টগ্রামের আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী। আর মা লাকী রানী দাশ চাকরি করছেন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে। শৈশবে বিউটি ভালো নাচতেন। তবে তার ভালোবাসা ছিল গানে। তাই গানের টানেই রাজধানীর বুকে এসেছেন তিনি।

সংগীতাঙ্গনে এরই মধ্যে বিউটির এক যুগ কেটে গেছে। ২০০২ সালে ‘বেনসন অ্যান্ড হেজেস’-এ সেরা শিল্পী এবং ২০০৯ সালে দুই বাংলার সংগীত প্রতিযোগিতা ‘সুর দরিয়া এপার ওপার’-এ তিনি জিতেছেন রানারআপ পুরস্কার।

গান শেখা প্রসঙ্গে বিউটি দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বসবাস ও সংগীতনির্ভর পরিবেশের জন্য খুবই সুন্দর জায়গা চট্টগ্রাম। এমন পরিবেশে বড় হয়ে আমি গর্বিত। গানটা ছোটবেলা থেকেই করছি। পাশাপাশি নৃত্যচর্চাও করতাম। তবে গানই বেশি টানত আমাকে। মায়ের কাছে গানে হাতেখড়ি হয় আমার। ’

এরপর চট্টগ্রামে প্রদীপ চক্রবর্তীর কাছে ১০-১৫ বছর তালিম নেন বিউটি। এর মধ্যে ওস্তাদ হেলাল উদ্দিনের কাছে নজরুলগীতি ও ওস্তাদ সুরবন্ধু অশোক চৌধুরীর কাছে তিনি শিখেছেন শাস্ত্রীয়সংগীত। ঢাকায় আসার পর কিছুদিন অনুপ বড়–য়ার কাছে তালিম নিয়েছেন বিউটি।

চট্রগ্রামের গার্লস এবং সিটি কলেজ থেকে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন বিউটি। এরপর আর চট্টগ্রামে থাকেননি। তার ভাষ্য, ‘গান গেয়ে প্রতিষ্ঠা পেতে ঢাকায় আসার বিকল্প নেই বুঝতে পেরেছিলাম। তা না হলে চট্টগ্রামেই থাকতাম। ’

তবে ঢাকা টু চট্টগ্রাম আসা-যাওয়ার মধ্যে ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় বিউটির প্রথম একক অ্যালবাম ‘বাঁশি’। এটি বাজারে আনে ওয়ার্ল্ড মিউজিক। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৯ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে বেশকিছু মিশ্র অ্যালবামে গান করলেও আসেনি তার নতুন কোনো একক অ্যালবাম। ফাইনালি বিউটি ফিরলেন! এবারের ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম। নামটাও ‘ফাইনালি বিউটি’। এটি বাজারে এনেছে সংগীতা।

অ্যালবামে গান রয়েছে মোট ১০টি। এগুলো লিখেছেন শফিক তুহিন, রবিউল ইসলাম জীবন, রাজীব রহমান, আহম্মেদ রাজীব, মাহমুদ মানজুর ও তানি। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন হৃদয় খান, শফিক তুহিন, কিশোর, আহম্মেদ রাজীব, রাজীব রহমান ও জুয়েল মোর্শেদ। একটি গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন রাফি। শফিক তুহিনের সঙ্গে তার একটি দ্বৈত গান থাকছে। বিউটির ভাষ্য, ‘প্রতিটি গান অনেক যতœ ও সময় নিয়ে তৈরি করা। এজন্য লেগে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। ’

অডিও অ্যালবামের বাইরে এ বছর প্রথমবার চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হয়েছে বিউটির। জাকির হোসের রাজু পরিচালিত ‘অনেক সাধের ময়না’ নামের ছবিটিতে শফিক তুহিনের সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
 
পরিবারে দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় বিউটি দাশ। ছোট বোন কণ্ঠশিল্পী রন্টি দাশ। ছোট ভাই মিঠুন ভালো ড্রামার। আগে নগরবাউলের ছিলেন, এখন মাইলস আর মাঝে মধ্যে হৃদয় খানের সঙ্গে বাজিয়ে থাকেন।

বিউটি এখন রন্টির সঙ্গে ঢাকায় মগবাজারে থাকেন। তিনি বললেন, ‘আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে উঠি। তাই রন্টির সঙ্গেই আছি। আমার বোনেরও একক অ্যালবাম বের হচ্ছে এ ঈদে। তাই আমরা খুব খুশি। রন্টির জন্য শুভকামনা থাকলো। শ্রোতাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমাদের দুই বোনের গান শুনুন সিডি কিনে। ’

বাংলাদেশ সময় :  ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ