ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

আমব্রিনের সঙ্গে কিছুক্ষণ

‘জ্যাকুলিন আমার খালাতো বইন’

খায়রুল বাসার নির্ঝর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
‘জ্যাকুলিন আমার খালাতো বইন’ আমব্রিন/ছবি : নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ নাকি আমব্রিনের খালাতো বোন! কীভাবে? জিজ্ঞেস করতেই আমব্রিন হাসলেন। সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তরও দিলেন।

তিনি উপস্থাপনা করছেন অনেক বছর ধরেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের সূত্র ধরে ক্যারিয়ারের সে রথ পেলো গতি। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন তিনিও। থাকবেন বিপিএলের পুরো আসরজুড়ে। আমব্রিনকে তাই যখন প্রশ্ন করা হয়, ‘এটাকে আপনার একটা টার্নিং পয়েন্ট বলা যায় কি?’ তিনি গদগদ হয়ে সায় দেন, ‘হ্যাঁ। সেটাই তো!’

বাংলানিউজ: ‘খালাতো বইন’-এর সঙ্গে কি কথা হলো?
আমব্রিন: তাকে জিজ্ঞেস করলাম, দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে? এখানকার কোন কোন খাবার পছন্দ- এসব। খুব ইচ্ছা ছিলো জ্যাকুলিনের সাক্ষাৎকারটা আমিই নেবো। কারণ, তিনি আমার খুবই পছন্দের অভিনেত্রী। ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে।

বাংলানিউজ: আপনি যে তার খালাতো বোন, এটা জ্যাকুলিন জানেন?
আমব্রিন: তাকে বলেছি তো! দেখা হওয়ার পরই তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এটাও বলেছি, আমি তোমাকে কাজিন হিসেবেই ট্রিট করবো। সে বলেছে, কোনো সমস্যা নেই। এটা খুব ভালো।

বাংলানিউজ: এবার বলেন ‘খালাতো বইন’-এর রহস্যটা কী?
আমব্রিন: আমার মা জন্মসূত্রে শ্রীলঙ্কান। জ্যাকুলিনও শ্রীলঙ্কান। এজন্য আমি তাকে ‘খালাতো বইন’ বলি। এই সম্বোধনটা যে জ্যাকুলিন বাংলাদেশে এসেছে বলে, তা কিন্তু না। টিভিতে, সিনেমায়- সেখানেই তাকে দেখি, বলি ‘এই যে আমার খালাতো বইন’। জ্যাকুলিনকে যে আমি ভীষণ পছন্দ করি, এটা আমার বন্ধু-কাজিনরা সবাই জানে। তারা প্রায়ই এ নিয়ে ক্ষ্যাপায়ও আমাকে।

বাংলানিউজ: হৃতিক রোশনের সঙ্গে কথা হয়নি?
আমব্রিন: না। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে পামেলা সিং ভুটোরিয়া। আমার কথা হয়েছে কেকের সঙ্গে। আর আমাদের দেশের তারকা যারা ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু, মমতাজ, সুমি তাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি।

বাংলানিউজ: পুরো বিপিএল আসরে আপনাকে পর্দায় দেখবে দর্শক। খেলার খুঁটিনাটি জানবে। ক্রিকেটের প্রতি আপনার ব্যক্তিগত আগ্রহ-জানাশোনা কতোখানি?
আমব্রিন: ছোটবেলা থেকেই আমি ক্রিকেট ভীষণ পছন্দ করি। শৈশবে বাড়ির উঠানে ভাই-বোন মিলে ক্রিকেট খেলতাম। খেলা শেষে পাউডারের বক্স এটা-সেটা দিতাম। মানে ওগুলো ছিলো আমাদের ট্রফি। আর চিরুনি দিয়ে আমি মাইক্রোফোন বানাতাম। মুখের সামনে চিরুনিটা ধরে ধারাভাষ্য দিতাম খেলার। এখনও নিয়ম করে খেলা দেখি, আপডেট রাখি।

বাংলানিউজ: মানে ব্যাপার অনেকটা এরকম, এখন যেটা করতে যাচ্ছেন, সেটার মহড়া ছোটবেলাতেই হয়ে গেছে...
আমব্রিন: ঠিক তাই। এটা কিন্তু খুবই আনন্দের বিষয় যে, ছোটবেলায় খেলাচ্ছলে যেটা আপনি করতেন, অথবা হতে চাইতেন, বড় হয়ে সত্যি সত্যি সেটা করতে বা হতে পারার মধ্যে অনেক আনন্দ। এ নিয়ে নিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, মনে করেই আমার গা শিউরে উঠছে!

বাংলানিউজ: তাহলে এটা আশা করাই যায়, উপস্থাপক হিসেবে আমব্রিনকে আরও অনেকখানি এগিয়ে দেবে এবারের বিপিএল?
আমব্রিন: গত সাত বছর ধরে উপস্থাপনা করছি। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে উপস্থাপনার দিকেই এতো মনোযোগী হয়েছি যে, অভিনয় তেমন একটা করা হয়নি। বিপিএলের এই আসর প্রথম সারির উপস্থাপকদের সবসময়ই ভীষণ আগ্রহের প্লাটফর্ম। কর্তৃপক্ষ যে অনেকের মধ্য থেকে আমাকেই নির্বাচিত করেছেন, এটা অনেক বড় পাওয়া। গত আসরে শিনা চৌহান ছিলেন। এবার আমি আর পামেলা আছি। পামেলা তো বাংলাদেশের নয়। সে হিসেব করলে, আমার জন্য এ আসরটি খুবই গুরুত্বের।

[বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) প্রতিদিনের খেলা সরাসরি দেখানোর পাশাপাশি খেলা শুরুর আগে, মাঝে ও পরে চ্যানেল নাইন প্রচার করবে বিশেষ আয়োজন। এগুলো উপস্থাপনা করবেন আমব্রিন। থাকবেন কলকাতার অভিনেত্রী পামেলা সিং ভুটোরিয়াও। ]

বাংলাদেশ সময় : ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ