প্রাচীন শ্যামদেশের এই বর্ষবরনের আয়োজনের নাম "সংক্রান"। এই উৎসবেই মাতোয়ারা এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ।
১৯৩৯ সাল থেকে সবাই যে থাইল্যান্ডকে চেনেন তার সাবেকী নাম শ্যামদেশ। থাই ভাষাতে যাকে বলা হতো সায়াম্।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সেই সায়াম্ মানে আজকের থাইল্যান্ডেই চলছে সংক্রান উৎসব।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ জলকেলি। এই উৎসবে শামিল হয়েছেন দেশি ভিনদেশি সবাই। কেউ বাদ্য বাজাচ্ছেন। কেউ বা নেচে গেয়ে পথচারীকে পানি ছুঁড়ছেন। কোথাও হাতির শূর দিয়ে পানি ছিটিয়ে-ও রঙ ছড়ানো হচ্ছে। কেউ বা আবার সরাসরি পানির পাইপ নিয়ে মেতেছেন সংক্রানের উৎসবে।
পর্যটন নগরী পাতায়া থেকে রাজধানী ব্যাংকক সর্বত্র চোখে পড়ছে এই দৃশ্য। আদতে গোটা দেশেরই চিত্র এটা।
উৎসবের এই সংস্কৃতির সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় বাংলাদেশের। দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব যারা দেখেছেন তারা "সংক্রান"এর ছবির সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন এই উৎসবের।
কেবল থাইল্যান্ডই নয়,আশিয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মায়ানমার,লাওস, কম্বোডিয়া আর চীনের দাই জাতিগোষ্ঠীরাও মেতেছে এই উৎসবে। তবে একেক দেশে এর একেক নাম।
সানা নামের থাই তরুণী বাংলানিউজকে বললেন, আমাদের এ উৎসবে ভিনদেশিরা এসে উৎসবের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে শতগুণে।
সাদা চামড়ার মানুষদের গায়ে পানি ছিটিয়ে মজা করছি। আনন্দই আলাদা। তবে সানার কথার সত্যতা মিললো থাইল্যান্ডের পথেঘাটে। হাজার হাজার পর্যটক নিজেরাই ওয়াটার গান হাতে নিয়ে নেমে পড়েছেন এই উৎসবে।
থাই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা প্রাতু চা বাংলানিউজকে জানান, বিমানবন্দরগুলোতে এখন তাদের অশেষ ব্যস্ততা।
উৎসবে সামিল হতে লাখো পর্যটক ঢুকছেন এ দেশে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এখানকার হোটেল, মোটেল আর রিসোর্টে। আগাম বুকিং থাকায় নতুন করে আসা পর্যটকদের বেহাল হতে হচ্ছে হোটেলের রুম পেতে- বলছিলেন পাতায়ায় বাংলাদেশের হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর আলম। কেবলমাত্র সংক্রানই নয়,পরস্পরের শুভ কামনা আর উপহার বিনিময়ের মাধ্যমেও উৎসবে মাতোয়ারা থাইল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
বিএস