পটুয়াখালী: উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে চরম প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও মহাবিপদ সংকেত জারি থাকা সত্ত্বেও, কুয়াকাটা সৈকতে এখনো অবস্থান করছেন পর্যটকরা। কেউ কেউ জোর করে সাগরে নামতে চেষ্টা করছেন। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বাধায় উঠে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী দোকানগুলো তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ জায়গায় মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান দোকানিরা।
শনিবার (১৩ মে) বিকেলে সৈকতে দেখা যায়, কুয়াকাটা পুলিশ বক্স সংলগ্ন চায়ের দোকান ও খাবারের দোকানগুলো তাদের মালামাল ভ্যান গাড়িতে করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
মেসার্স আলতাফ স্টোরসের মালিক আলতাফ মিয়া বলেন, গত বছর ঘূর্ণিঝড়ে আমার অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত মোখার আঘাত শুরু হয়নি। তবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে বোঝা যাচ্ছে, আর কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি ও পানির চাপ বেড়ে যাবে। এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কুয়াকাটা সি বিচ সংলগ্ন হাওলাদার স্টোরসের মালিক আলমাস হাওলাদার বলেন, এমনিতেই বেচাকেনা খুব কম। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখায় যদি পানি উঠে, তাহলে আমার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। এজন্য আগে থাকতেই দোকানের মালামাল নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে আমরা গত তিনদিন ধরেই মাইকিং করে যাচ্ছি জনসাধারণের সচেতনতার জন্য। মোখায় ক্ষয়ক্ষতি যদি হয়, তাহলে এ সকল খুচরা দোকানদাররা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। আমরা তাদের মাইকিং করে নিরাপদ জায়গায় মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েকদিন ধরে আমি এলাকায় অবস্থান করছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে কাজ করছি। পর্যবেক্ষণ করছি। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৪৪০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসএএইচ