বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড জয়ী বাংলাদেশের ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ প্রিয়তা ইফতেখার অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
মাস্টার অব স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে (এক্সটেনশন) পড়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কায় প্রথম বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন প্রিয়তা। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২০০’রও বেশি শহরে বেড়ানো হয়েছে তার। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার ঝুলিতে রয়েছে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়, মালয়েশিয়ায় মিস ট্যুরিজম ওয়ার্ল্ড, মিস ল্যান্ডস্কেপস ইন্টারন্যাশনাল ও মিস মাল্টিন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা।
প্রিয়তা ইফতেখার বলেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করলাম। স্নাতকোত্তর অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়ে ২০২২ সালের আগস্টে স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে মাস্টার্স শুরু করি। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে ইউটিএস কর্তৃপক্ষ।
প্রিয়তার পরিবার থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। ইউটিএস-এ অধ্যয়নের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে ও পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পেরেছেন তিনি। তার কথায়, আমার বাবা-মা উভয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে স্নাতক করেন। তবে তারা সমাবর্তন মিস করেছেন। তাই মা কোনো স্নাতকের ছবি দেখলেই ভাবতেন, আমাকে সমাবর্তনের গাউন পরা দেখে যেতে পারবেন কিনা।
প্রিয়তার মা জীবদ্দশায় মেয়ের সেই অর্জন দেখে যেতে পারেননি। তার বাবা-মা দুই জনই মারা গেছেন। তাদের স্মৃতি বহনের পরিকল্পনা থেকে ইউটিএস-এর সমাবর্তনে বিশেষ একটি শাড়ি পরেন প্রিয়তা। ২০০৫ সালে তার মাকে তার বাবা এটি উপহার দিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি শহরে অবস্থিত ইউটিএস দেশটির সরকারের অর্থায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি মূলত ব্যবহারিক ও শিল্প-সংযুক্ত শিক্ষার ওপর কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
এসআইএস