মিলান (ইতালি) থেকে: মাহিন আলী (৩১)। ইতালি প্রবাসী।
ছুটি পেলেই গাড়ি চালিয়ে চলে যান ইউরোপের অন্যদেশে।
তবে এবারের ইচ্ছেটা ভিন্ন। দেশের কথা জানাতে ইউরোপ, এশিয়ার নানা দেশ পাড়ি দিয়েই গাড়ি চালিয়ে আসতে চান বাংলাদেশে। সঙ্গে থাকবে দেশের পতাকা।
নিজেই জানালেন, বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে যেতে চাই আমার মাতৃভূমিতে। পথের সবাই দেখবে আমার পতাকা। জানবে আমার দেশের নাম। এটাই আমার প্রাপ্তি। এর বেশি কিছু নয়।
মাহিন আলী কুমিল্লার বরুড়া থানার পেড্ডা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা চাকরি করতেন ইতালির মালপেনসা বিমানবন্দরে। বাবার চাকরির সুবাদেই ‘ফ্যামলি ভিসায়’ ১৯৯৯ সালে ইতালি পাড়ি জমান মাহিন।
ভাষা শেখার জন্য ভর্তি হন স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে। ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জনের পর পানির মতোই সব সহজ হয়ে যায় তার কাছে। কারণ ইতালিতে কাজ নিতে হলে ভাষা শেখাটা অত্যন্ত জরুরি। নইলে বোবার মতোই পথে ঘাটে বিপাকে পড়তে হয়।
এরপর মিলানে মাহিন কাজ নেন ‘হিটিং ইটালিয়া’ নামের একটি মোটর পার্টস তৈরির কারখানায়। পরে সেখানে খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে কাজ করলেও অবশিষ্ট সময়টা দেন নিজের ব্যবসায়। এখন নানা ধরনের ব্যাগ, ভ্যানিটি ও বেল্টের কারবার তার। আয়ও মন্দ নয়। বেশ চলে যায়।
মাহিন আলী বাংলানিউজকে জানান, গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ানো তার শখ। ২০০৩ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে গাড়ি কেনেন ২০০৬ সালে। ২০১২ সালে বিয়ে করে জীবনসঙ্গী তানজিনা আফরিন রিনাকেও নিয়ে আসেন এ দেশে।
ব্যাংক ঋণ নিয়ে চিনি শেল্লো বালসামো এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন।
যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সবকটি দেশেই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়েছেন মাহিন। লোন পরিশোধ হলেই বাংলাদেশ অভিমুখে দেশের পতাকা নিয়েই গাড়ি চালিয়ে আসতে চান। পথে বিশ্বকে দেখাতে চান প্রিয় দেশের পতাকা। বলতে চান বাংলাদেশের কথা। এ প্রত্যয়েই চলছে যতো প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৬
জেডএস