এখানে এসে তারা বছরের শেষ সূর্যাস্ত ও বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখেছেন। অনেকেই ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়েছেন আবার অনেকেই ছুটি নিয়ে এসেছেন।
সব মিলিয়ে পর্যটকে ভরপুর এখন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সব বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা।
ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে আগে থেকেই হোটেল-মোটেলগুলোতে ঘসামাজা, রং-চুনের কাজ করিয়ে নিয়েছেন পরিচালনাকারীরা। সন্ধ্যার পরে পর্যটকদের পদচারণায় রাখাইন মার্কেট, ঝিনুকের দোকান, খাবারঘরগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।
পাশাপাশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরিফ জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আরামদায়ক আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আগাম প্রস্ততি নিয়ে রাখা হয়েছে।
শীতের এই সময়টা পিকনিকের ধুম পড়ে যাওয়ায় এমনিতেও কুয়াকাটায় ভিড় থাকে, তবে বছরের শুরু হওয়ায় ভিড়টা একটু বেশিই।
কুয়াকাটায় ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, ফাতরার চরের বনাঞ্চল, গঙ্গামতি, কাকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী ও বীচ সংলগ্ন ঝাউবন ঘুরে দেখেন পর্যটকরা। তবে এখানে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায় বলে এটি পর্যটকদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমএস/আরএ