ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ’ আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেছেন দেশি-বিদেশি পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে তিনদিন ব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাবি ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, আজকের এ সম্মেলনের মূল বিষয় হলো ২০৫০ সালের পর ট্যুরিজমের ভবিষ্যত বা ফিউচার অব দ্যা মাস ট্যুরিজম। বাংলাদেশের গ্রোয়িং অর্থনীতিতে ট্যুরিজম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এটা কর্মব্যস্ত মানুষের নির্মল আনন্দেরও বিষয়। এটাকে কাজে লাগাতে নির্মল পরিবেশ ও মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে বিনোদনেরও।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ট্যুরিজম এমন একটি খাত যার সঙ্গে কেবল হোটেল, মোটেল আর রেস্তোরাই নয়, সম্পর্ক রয়েছে যোগাযোগ, পরিবহন, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, ক্রীড়া ও বিনোদনের। আমরা এখনো আমাদের প্রকৃতির অপার মহিমা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে পারিনি। কাজে লাগাতে পারিনি আমাদের নদী ও সমুদ্রকেও। এজন্য কেবল সড়ক ও আকাশ পথই নয়, উদ্যোগ নিতে হবে রেল ও ওয়াটারবাস ও বেক্রুজকেও।
অনুষ্ঠানে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এস পি বানসাল তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশিরা এমনিতেই বেড়াতে পছন্দ করে। যে কারণে ভারতে বেড়াতে যাওয়া দেশের তালিকায় এক নম্বরেই আছে বাংলাদেশ। গত বছর ১৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি ভারতে বেড়াতে গেছেন।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের ১০ দেশের ২০ জন আন্তর্জাতিক পর্যটন বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরএম/পিসি