দুই পাশে রয়েছে সুন্দরবনের বৈচিত্র্যময় অপার সৌন্দর্য। আর মাঝখানে বয়ে চলেছে খোল পেটোয়া নদী।
নদীতে এখন প্রচণ্ড স্রোত। নীলডুমুর থেকে যাত্রা শুরু করলে কলাকাচিয়া হয়ে দোবেকী, এরপর আঠারোবেঁকী খাল হয়ে বিজিবি'র সামনে দিয়ে এগোলে আঠারোবেঁকী ভাসমান বিওপি। তবে আঠারোবেঁকী খালের ঠিক ডান পাশেই চলে গেছে কাচিকাটা। সেখানে রয়েছে বিজিবি'র প্রথম ভাসমান বিওপি। সুন্দরবনের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চোরাচালান ও জলদস্যুদের প্রতিরোধ করতে বনের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে এই ভাসমান বিওপি।
নদীর বুকে চলছে বোট। আর দুই পাশে সুন্দরবন। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে নদীর তীরে থাকা গাছগুলো দোল খাচ্ছে বাতাসে। আঁকাবাকা নদীপথ ধরে যেতেই নজর কেড়ে নেবে মায়াবী সৌন্দর্যময় এই সুন্দরবন।
নদী থেকে অসংখ্য সুড়ি (সরু খাল) চলে গেছে বনের গহীনে। পাড় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে গেওয়া, গড়ান, হেতাল, কেওড়া, পশুর, গোলপাতা ও গামাড়ি গাছ। পাড়েই দেখা যায় হেঁতাল গাছের ঝোঁপ। হেঁতাল গাছগুলো দেখতে অনেকটা খেজুর গাছের মতই। আর কেওড়া গাছের পাতাগুলতেঁ ধরেছে লালচে রঙ। পাড়ঘেঁষা কেওড়া গাছগুলো লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এদের অধিকাংশেরই পাতা ঝরে গেছে। তবে উঁচু ভুমিতে দাঁড়িয়ে থাকা কেওড়া গাছগুলো চিরসবুজ। গাছের ঝরেপড়া পাতাগুলো ভেসে চলেছে খোল পেটোয়া নদীর পানিতে। ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছে দূরে, গন্তব্যহীন গন্তব্যে।
আপাতত সামনে যতদূর চোখ যায় সর্বত্র ছড়ানো সুন্দরবন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এসজেএ/জেএম