মঙ্গলবার (০৯ মে) সকালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
আগামী ১৫ থেকে ১৭ মে তিন দিনব্যাপী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথম দিন ১৬ মে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ক্রাইসিস কমিশন অ্যান্ড টেকনিক্যাল ট্যুর অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দ্বিতীয় দিন ১৭ মে ২৯তম যৌথ কমিশন মিটিং অব ইউএনডব্লিউটিও সিএপি-সিএসএ অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে পর্যবেক্ষকসহ প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
রাশেদ খান মেনন বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রী বলেন, ধর্মান্ধ ও উগ্রবাদীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে পর্যটন শিল্প প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। হলি আর্টিজানের মতো ট্রাজেডি পেছনে ফেলে এবং তাবেলা সিজার ও হোসিও কোনি (৬৬) হত্যার ক্ষত মুছে ফেলে গত বছর নভেম্বরে কক্সবাজারে পাটার নিউ ট্যুরিজম ফ্রান্টিয়ার্স ফোরাম সম্মেলনে সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছি।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্প ১০৯ টি শিল্পকে সরাসরি প্রভাবিত করে, চালিত করে, প্রসারিত করে। একজন পর্যটকের আগমনে ১১ জনের সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। পরোক্ষভাবে, কাজ পান ৩৩ জন। অর্থাৎ ১ লাখ পর্যটকের আগমনের সঙ্গে ১১ লাখ কর্মসংস্থান যুক্ত।
একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পর্যটনখাতে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০টি। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড টরিজম কাউন্সিল এর পূর্বাভাস হচ্ছে পরবর্তী বছরে আরো ২ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়ে এবং গড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৬ সালে ২৮ লাখে পৌঁছাবে।
আইএটা’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিলেটেড এবং এভিয়েশন খাতে ২০১৪ সালে যাত্রী ছিলো ৯ মিলিয়ন বা ৯০ লাখ। ২০৩৫ সালে এই সংখ্যা পৌছুবে ২১ মিলিয়ন বা ২ ২ কোটি ১০ লাখ। ২০১৪ সালে এই খাতে কর্মসংস্থান হয়েছিল ১৩ লাখ। ২০৩৫ সালে ১৪৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে এ সংখ্যা দাড়াবে ৩৩ লাখ। ২০১৪ সালে এই খাত থেকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয়েছিলো ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০৩৫ সালে ১৪২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (সিইউও) ড. নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এসএম/ওএইচ/এমজেএফ