স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, রাজ বন বিহার, জেলা প্রশাসনের বাংলো, চাকমা রাজবাড়ী, রাজ বন বিহার, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ, বালুখালী কৃষি খামার, টুক টুক ইকোভিলেজ।
কিন্তু এবার পাহাড়ের চিত্র ভিন্ন।
হোটেল গ্রিন ক্যাসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, এবার ঈদ উপলক্ষে প্রত্যেকটি হোটেল নতুন আঙিকে সাজানো হয়েছিলো পর্যটকদের বরণ করতে। কিন্তু গেল ১৩ জুন প্রবল ভূমি ধসের ফলে হোটেলের বুকিং বাতিল করেছে পর্যটকরা। ফলে কোনো হোটেলে পর্যটক নেই বললেই চলে। তাতে প্রত্যেকটি হোটেলের কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এখন কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
রাঙামাটির পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বাংলানিউজকে জানান, গত বছর ঈদের পরের দিন থেকে প্রতিদিন রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের আগমন ঘটে ১০-১২ হাজার। কিন্তু এ বছর অর্জিত লক্ষ্য পূরণ হবে না।
এ বিষয়ে বয়ন টেক্সটাইলের মালিক জহির বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার আদিবাসী তাঁতের কাপড় বিক্রি হয়। কিন্তু এ বছর পর্যটক না আসায় বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
এদিকে, পর্যটন নৌঘাট ম্যানেজার রমজান আলী বাংলানিউজকে জানান, পর্যটক না থাকায় তিনশোর অধিক বোট চালক বেকার বসে আছে। তিনি বলেন, এ পেশা ছেড়ে অনেকে অন্য পেশার দিকে ধাবিত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
চলতি বছরের ১৩ জুন ভারী বর্ষণে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা, মুসলিম পাড়া, শিমুলতলী এলাকা, সাপছড়ি, মগবান, বালুখালী, জুরাছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ শতাধিক জনের মৃত্যু হয়। এতে শত শত ঘর-বাড়ি এবং রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক বিধস্ত হয়ে পড়ে।
বর্তমানে রাঙামাটি প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। তাই নিরাপদে পর্যটকরা পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঈদের ছুটিতে রাঙামাটির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
আরবি/বিএস