শহরের যান্ত্রিকতায় এখানকার মানুষের বিনোদনের খুব একটা ব্যবস্থা নেই। ফলে লোকজন রংপুরের পীরগঞ্জের আনন্দনগর, ভিন্নজগত, দিনাজপুরের রামসাগর, কান্তজির মন্দির, স্বপ্নপুরী ও সিঙ্গারা ফরেস্টে আনন্দ ভ্রমণে যান।
এ চিন্তা থেকেই সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য শহরের অদূরে দ্রুতগতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে এই পাতাকুঁড়ি বিনোদন কেন্দ্রটি। চলতি বছরের যেকোনো সময় এ বিনোদন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে, এমন আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রটিতে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করে জিরাফ, হাতি, হরিণ, সিংহসহ কৃত্রিম জিনিসপত্র তৈরি করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতের গাছগাছালি। শিশুদের জন্য ছোট্ট পরিসরে বসানো হয়েছে চড়কি, দোলনাসহ বিনোদনের নানা মাধ্যম।
বিনোদন কেন্দ্রের মূল উদ্যোক্তা শহরের ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার আলহাজ জয়নাল আবেদীন। বাংলানিউজকে তিনি জানান, পাতাকুঁড়ি বিনোদন কেন্দ্রটি আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে কাজ চলছে। সেই লক্ষ্যে যদি জমির পরিধি আরও বাড়াতে হয় তবে বাড়ানো হবে।
সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের পাশে বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিকেল হলে শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের ভিড়ে এরই মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রটি। এর প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
এমজেএফ