সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কালবৈশাখী ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসছেন না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী বনভূমি হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে নদী ও সমুদ্র উত্তাল থাকে।
পর্যটক না আসাতে খুলনা ও মোংলার পর্যটনকেন্দ্রীক সব নৌযান মালিক ও হোটেল ব্যবসায়ীরা কিছুটা মন্দা সময় পার করছেন।
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টি মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটকদের আনাগোনা একটু কম থাকে। তাইতো দীর্ঘ ছুটিতেও সুন্দরবনে তেমন কোনো পর্যটক আসছেন না।
দি গাইড ট্যুরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাসান মাহবুব বাবলু বাংলানিউজকে বলেন, এ সময় পর্যটকরা সুন্দরবনের চেয়ে বেশি বান্দরবানমুখী।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজাদ কবির বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। নদী উত্তাল রয়েছে। যে কারণে পর্যটকরা তেমন একটা আসছেন না। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাস শীত মৌসুম শুরু হলে তখন থেকে আবার পর্যটক আসা শুরু করবে সুন্দরবনে।
তিনি জানান, ১৫ মার্চের পর সুন্দরবনে যাওয়ার কোনো লঞ্চের অনুমতি দেওয়া হয় না। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তেমন কেউ আসেনও না।
বাদাবন ইকো-কটেজের (বৈদ্যমারি ফরেস্ট ফাঁড়ির বিপরীতে) পরিচালক মো. লিটন জমাদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকরা এসময় সুন্দরবনে আসতে ভয় পান। কিন্তু এখন আগের মতো ভয় নেই। আমাদের কটেজের মতো বেশ কয়েকটি কটেজ আছে যেখানে বৈরী আবহাওয়া কিংবা ঝড়-বৃষ্টিতে নিরাপদে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এমআর/জেডএস