তবে মুকুল আসার পর আম পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে নিতে হয় যথাযথ পরিচর্যা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চামাগ্রামের আম চাষি মো. আবদুল বারি বলেন, গাছে মুকুল আসার পর তাতে ওষুধ স্প্রে করতে হয়।
গাছ থেকে আম পাড়ার পরও পরিচর্যার ব্যাপার রয়েছে। আম প্রথমে গাছের নিচেই রাখা হয়। এ সময় পাটি বিছিয়ে দিয়ে তার উপর আম রাখা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না এর বোঁটার রস ঝরে। কারণ এ রস আমের গায়ে পড়লে তা বাইরের আবরণ নষ্ট করে ফেলে। গায়ে পরে কালো দাগ।
পাঁচ বছরের জন্য ৩৫ লাখ টাকায় ১০০ বিঘা বাগান লিজ নিয়েছেন আবদুল বারি। দুই বছরে ২০ লাখ টাকা উঠলেও তৃতীয় বছর ২০১৮ তে ফলন ভালো হওয়ায় পুরো খরচ উঠে আসবে বলে আশা করছেন ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আম চাষের সঙ্গে জড়িত এ চাষি।
আমের পরিচর্যা নিয়ে তিনি বলেন, বোঁটার রস ঝরে যাওয়ার পর তা মাটিতে বা খড়ের উপর বিছিয়ে রাখা হয়। অনেকে পাখার বাতাসেও তা শুকিয়ে নেন। তবে লক্ষ্য থাকে দ্রুত আম বাজারজাত করার। এজন্য বিভিন্ন আকারের ঝুড়িতে কাগজ দিয়ে তাতে আম ভরা হয়। গাছের পরিচর্যার বিষয়ে এ আম চাষি বলেন, ড্যাব, পটাশ, ইউরিয়াসহ গাছে বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়, যাতে পানি আটকে থাকে। এ সময় ভেঙে ফেলা হয় গাছের মরা ডাল। পোকা দমনে পাতা হয় ‘সেক্স ফেরোম্যান’ ফাঁদ।
এতো কিছুর পরও এ বছর আমে কালো দাগ পড়ায় হতাশার সুর শোনা গেলো আবদুল বারির গলায়। ক’দিন আগের বৃষ্টিতে আমের গায়ে কালো দাগ পড়েছে। যদিও এরইমধ্যে তিনি ৭ বার ওষুধ স্প্রে করেছেন। প্রতিবারে তার খরচ পড়েছে সব মিলে ৯০ হাজার টাকা।
তবে এ বছর আমের বাম্পার ফলন দিনরাত বাগানে পড়ে থাকা আবদুল বারির মতো আম চাষিদের সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবে বলে প্রত্যাশা করছেন। তাদের এ কষ্টের বিনিময়েই দেশবাসী পাচ্ছেন সুস্বাদু আম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
জেডএস