সোহাগী ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘হ্যালো বাংলাদেশ, আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই বাংলাদেশের পতাকা হাতে আমি পা রাখবো একশতম দেশ জিম্বাবুয়েতে।
পৃথিবীর বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের উপর যে ব্রিজটি রয়েছে তা আমার শততম দেশের সাক্ষী হবে। এই ব্রিজটির অর্ধেক জাম্বিয়াতে বাকি অর্ধেক জিম্বাবুয়েতে পড়েছে। আর বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতটি বহমান রয়েছে দু'দেশের মধ্যে!
আরও পড়ুন...
ঘুরেছেন ৯৩ দেশ, বিশ্ব দেখতে চান লক্ষ্মীপুরের সোহাগী
ভিন্ন এক উদ্দীপনা কাজ করছে! শততম দেশে পায়ে হেটে যাত্রা! নিরান্নব্বইতম দেশ জাম্বিয়া থেকে পায়ে হেঁটে একশোতম দেশ জিম্বাবুয়েতে যাত্রা পূর্ণ হবে। আমার শততম হৃদয়ে বাংলাদেশে দু'চোখে আমার একশতম। সবাই দোয়া করবেন"।
নাজমুন নাহার সোহাগীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নে। ১৯৭৯ সালের ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরের হামছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুর গ্রামে সোহাগীর জন্ম। তার ব্যবসায়ী বাবা মোহাম্মদ আমিন ২০১০ সালে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তিন ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে সোহাগী সবার ছোট।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা সোহাগী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ২০০৬ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য তিনি যান সুইডেনে। সেখানকার লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি লাভ করেন এশিয়ান স্টাডিজ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি।
২০১৬ ও ২০১৭, দুই বছরে সোহাগী ঘুরেছেন ৩৫টি দেশ। ২০০০ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তার ভ্রমণের ডায়েরিতে যুক্ত ছিলো ৯৩টি দেশের নাম। চলতি মে মাসে আফ্রিকার যে সাত টি দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পূর্ণ হচ্ছে শততম দেশ। সে সব দেশ হচ্ছে ইথিওপিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, তাঞ্জানিয়া, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ সময় : ০৭৭২ ঘন্টা, ০১ জুন, ২০১৮
এসআর/এমএমএস