তারমধ্যে অসংখ্য গাছে ঝুলছে সবুজ আম। মহাসড়কের দু’ধারে সেই ঝুলন্ত আমই স্বাগত জানাবে আম রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) বেলা তখন আড়াইটার মত হবে। বাইকে চেপে দ্রুত বেগে ছুটলাম আমের রাজধানীখ্যাত রাজশাহীতে। তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। আবার রাজশাহী সড়ক ভবনের পাশ থেকে বাইকযোগে ছুটলাম বানেশ্বরের উদ্দেশে। সেখান থেকে মহাসড়ক ধরে আরও কয়েক কিলোমিটার উত্তরে গেলাম। উদ্দেশ্য মহাসড়কের দু’পাশে লাগানো বিভিন্ন জাতের আম গাছ ও গাছের ঝুলন্ত আম দেখা।
প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক ঘুরলাম অনেকটা ধীরগতিতে। এর ফাঁকে অনেকগুলো আঞ্চলিক সড়কের দেখা মিললো। সেসব সড়কের দৃশ্য একই রকম। কোথাও কোথাও চোখে ধরা দিলো সারিবদ্ধ আম গাছ। এসব গাছের সিংহভাগে ঝুলছে আম।
আবার মহাসড়কের সামান্য দূরে অবস্থিত জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে আম বাগান। যা দু’চোখের দৃষ্টিসীমাকেও যেন হার মানায়। না দেখলে চোখকে বিশ্বাস করানোটাই মুশকিল বটে।
পথিমধ্যে শাহ আলম, আব্দুল জব্বার, হানিফ উদ্দিন ব্যাপারিসহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ-নবীন ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়।
আলাপচারিতায় তারা বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহীর অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্যের মধ্যে আম অন্যতম। এজন্য রাজশাহীকে আমের রাজধানীও বলা হয়।
তারা আরও জানান, এখানকার জমিজমাসহ যেকোন জায়গাতে গাছ লাগাতে গেলেই আম গাছকে প্রাধান্য দেন। এটা অনেক যুগ ধরে হয়ে আসছে। সময়ের ব্যবধানে আম গাছ লাগানো বেড়েছে কয়েকগুণ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআর