কিন্তু এ বছর মধুমাসের অধের্ক পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি আমভাঙা। তাতে মোকামে নেই আমকেন্দ্রিক ব্যস্ততা, আলাপচারিতা, চায়ের দোকানের আড্ডা।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে কানসাট বাজারের মোকামে গিয়ে আমতো দূরের বিষয়, কোনো মানুষের আনাগোনাই দেখা যায়নি। মোকামের মূল মাঠে চরছে গরু ও কয়েকটি ছাগল। ফাঁকা জায়গা পেয়ে তারা খেলায় মেতেছে। আশপাশে খোলা নেই কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
তবে সেজন্য যে প্রস্তুতি থেমে আছে তা কিন্তু নয়। আসছে মৌসুমে ব্যবসায়ীদের জন্য খাবার হোটেল গোছাচ্ছেন অন্য ব্যবসায়ীরা। প্রস্তুতি নিচ্ছেন আড়তদাররাও। ঠিক করে নিচ্ছেন ভাঙা স্থানগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ গোলাম নবী বলেন, প্রতি বছরের এ সময়টায় মোকাম সরগরম থাকে। কিন্তু এ বছর তার লেশমাত্র নেই। মনে হয় ঈদের আগে জমবে না। আবহাওয়া অনুকূল না হওয়াকেই তিনি আম না ভাঙার কারণ হিসেবে মনে করছেন। গত ২০ মে থেকে প্রশাসন আম পাড়ার তারিখ বেঁধে দিলেও এখনও জাত আম ভাঙতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। আগামী ২ জুনের আগে তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এবার আমবান্ধব আবহাওয়া না পাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরাও।
১৬ বছর ধরে আড়তদারি করছেন মো. আলতাফ হোসেন। দুপুরে আড়তে তাকে ঘুমিয়ে অলস সময় কাটাতে দেখা গেলো। পাকা আম না এলেও সকালে দুই ট্রাক কাঁচা আম রাজধানী পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১০ জুনের আগে আমের হাট জমবে না। এখনও আমই ভাঙা শুরু হয়নি, পাইকাররাও আসেননি।
তবে আমের মৌসুমে কিছু অসাধু ব্যাপারি সরল চাষিদের বেশি মূল্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সবর্শান্ত করেন। তাতে সব হারিয়ে প্রতিবছর কমছে আম চাষির সংখ্যা। এসব ব্যাপারিদের কাছ থেকে সাবধান থাকার জন্য বলেছেন আড়তদাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১
জেডএস/