৪০-৪৫ বছরের পুরনো আমের এ জাতটি বর্তমানে গৃহস্থের বাড়ির আঙিনায় কেবল দেখা যায়। তাও সব জায়গায় নয়।
‘আমের দেশে নতুন বেশে’-কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলানিউজের একটি টিম শিবগঞ্জের কানসাট ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের একটি আমবাগান ঘুরে, বাগানের মালিক মো. রবিউল আউয়ালের সঙ্গে আলাপ করে ‘মহানন্দা’ জাতের আমের তথ্য পেয়েছে। যার সত্যতাও মিলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে।
এ বছর ৩০ বিঘা জমিতে অন্তত ১২ জাতের আমের চাষ করেছেন রবিউল। আমটির বিষয়ে তিনি বলেন, খুবই সুস্বাদু, আকারে গোল। পাকলে হলুদ রং ধারণ করে। তবে ফলন কম। বাণিজ্যিকভাবে প্রসার নেই।
নিজের বাড়ির আঙিনায় একটি গাছ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, গাছটি ৫ বছর আগে কলম করা হয়েছে। ভালো ফলন দিচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শরফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মে মাসের শেষ থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এ আম পাওয়া যায়। খেতে খুবই সুস্বাদু। আমের ওজন হয় দুইশ গ্রাম। পাকা আম হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ফলের খোসা পাতলা ও মসৃণ। প্রতি গাছে ৭শ থেকে ৮শ ও হেক্টর প্রতি ফলন হয় ১৫ টন।
বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন না হওয়ার পেছনে এ গবেষক বলেন, ফলন কম হওয়ায় এ জাতের আম চাষে কৃষকের আগ্রহ কম। তবে বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও রাজশাহীতে এ জাতের আম পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
জেডএস