প্রধান সড়কের পাশে ছোট ছোট গাছে বড় বড় আম ঝুলতে দেখা গেলো একেবারে নিচে। আমে ধুলার আস্তরণ পড়ে রং পরিবর্তন হয়ে গেছে।
কাটনসাটের বালুচর গ্রামের রবিউর আওয়ালের বাগানে গিয়ে দেখা গেলো বেশি কিছু শিশু আম কুড়োতে ব্যস্ত। আগের রাতে একটু ঝড়ো বাতাস হওয়ায় নিচে পড়েছে অনেক আম। স্কুল শেষে তাই তারা বেরিয়েছে আম কুড়োতে। পারিবারিক অবস্থা বেশি ভালো না। তাই কুড়োনো আম কাঁচা বিক্রি করবে কিংবা বানাবে আমচুর।
আর শিহাবও বেরিয়েছিল আম কুড়োতে। নিজের পরা গেঞ্জির কোচড়ে দেখা গেলো বেশ কিছু কুড়োনো আম। এ আম দিয়ে করবে জানতে চাইলে বলে, আম দিয়ে বাড়িতে আমচুর বানাবে। সেগুলো আবার বাজারে বেঁচতে পারে। অনেক সময় কাঁচা আমও অনেক জমিয়ে বাজারে নিলে ব্যবসায়ীরা কিনে নেয়। শুনছি সেগুলো ঢাকায় পাঠায়।
তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই হাজির হলো আরও একদল শিশু। তাদের সবার হাতে, কোচড়েও ঝড়ে পড়া কাঁচা আম। বাগানে এতো গাছ আর এতো আম পড়ে যে কুড়োনোর লোক থাকে না বলে জানান বাগান মালিক রবিউল।
তিনি বলেন, বাগানে পাহারাদার আছে। তবে কেউ আম চুরি করে না। আর এসব শিশুরা প্রতিদিনই বাগানে ঢুকে আম কুড়ায়। এতে তাদের কিংবা তাদের পরিবারের কিছু আয় হয়। আমরা এতে বাধা দেই না।
আমকেন্দ্রিক বহুমুখী অর্থনীতির এটিও একটি দিক। চাঁপাইয়ে শুধু সংরক্ষণ কিংবা বিপণনের অভাবে প্রচুর সংখ্যক আম নষ্ট হয়। এই ছোট শিশুরা আম কুড়িয়ে কিছুটা হলেও তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। স্কুল শেষে কিংবা বিকেলে খেলার সময় শিহাব কিংবা জাহিদের মতো শিশুরা আম কুড়াতে বের হয়।
ম্যাঙ্গো সিটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অতিসামান্য হলেও তারা অংশীদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
এএ