সেই আতঙ্ক কাটাতে ব্যাপক বেগ পেতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। আতঙ্ক কিছুটা কাটলেও দূর হয়নি একেবারে।
আমে ফরমালিন নিয়ে মিডিয়াকে দুষলেন ব্যবসায়ী বারী। তিনি বলেন, মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের জন্য আমরা সবচেয়ে বেশি লসে পড়েছি। আমে আমরা কেন ফরমালিন দেবো। ফরমালিন তো গাছে দেওয়া যায় না। আর দিয়ে কোনো উপকারও নেই। এটা যারা বলে তারা মিথ্যা বলে। আম ব্যবসা ধ্বংস করার জন্য বলে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ কমবেশি সব ব্যবসায়ী ও চাষির মধ্যে। তাদের বক্তব্য আমের ভালো ফলন পেতে কিছু কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। আর ফ্রুটব্যাগিংয়ের আমে তো পুরোপুরি বিষমুক্ত। তাহলে ফরমালিন ব্যবহার কখন করবো, কেন করবো।
কানসাটের চাষি রবিউল আওয়াল বলেন, অনেক ব্যবসায়ী আম ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে গরু ব্যবসা শুরু করেছে শুধু ফরমালিন কেন্দ্র করে ধসের কারণে। এখন কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফরমালিনের পাশাপাশি কার্বাইডের আতঙ্ক কাটাতে পারলে বাজার আবার পুরোপুরি চাঙ্গা হয়ে যাবে।
চলতি বছর শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বাগানে। তারপরও যে আম রয়েছে সেগুলো যদি ভালো দামে বিক্রি হয় তাহলে লোকসান কিছুটা কমবে বলে মত ব্যবসায়ীদের।
চাঁপাই অঞ্চলে ফ্রুটব্যাগিংয়ের প্রথম ব্যবসায়ী ইসমাইল খান শামীম বাংলানিউজকে বলেন,আমে ফরমালিন অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। ফরমালিনের তো কোনো দরকার নেই। আমরা কেন ব্যবহার করবো। আমে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়েছে বললে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, আমে ফরমালিন ব্যবহারের কোনো রেকর্ড নেই। শুধু আম কেন, কোনো ফলেই ফরমালিন দিয়ে কোনো লাভ হয় না। কোনো ফল ফরমালিন একসেপ্ট করে না। যারা বলে তারা ভুয়া কথা বলে।
আমে ফরমালিন ব্যবহারকে ২০১৪-১৫ সালের গুজব ছাড়া কিছুই নয় বলে উড়িয়ে দিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমে কখনই ফরমালিন ব্যবহার করা হয় না। এটা নিছক গুজব। কোনো ফলেই ফরমালিন কার্যকর নয়।
তাই যারা ফরমালিন আতঙ্কে আম খাওয়া থেকে বিরত আছেন তারা মনের সন্দেহ ছেড়ে প্রকৃত সময়ে পাকা খেতে পারেন। এতো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকবে অনেক কম। অসময়ে কিছু আম কার্বাইডে পাকানো হয়, তবে তার সাথেও ফরমালিনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
এএ