আর সড়কের পাশ দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো সারি সারি খেজুর গাছগুলো কিছুটা বেঁকে তরতর করে বেড়ে ওপরের দিকে উঠে গেছে। বেশিরভাগ খেজুর গাছের মাথায় শোভা পাচ্ছে থোকা থোকা খেজুর।
শুক্রবার (১ জুন) বানেশ্বর থেকে চারঘাটা সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যায়, বিঘার পর বিঘাতে জমিতে ছোট-মাঝারি-বড় আমবাগানের গাছের শাখা-প্রশাখায় ঝুলছে নানা জাতের আম। আর ঠিক সড়কটির দু’পাশ দিয়ে বেশ বড় বড় আকারের খেজুর গাছ। তবে কিছু কিছু খেজুর গাছ আকারে খানিকটা ছোটও দেখা গেলো। আবার সড়ক থেকে বেশ খানিকটা দূরে পতিত জমিতে খেজুর গাছের বাগানও গড়ে তোলা হয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা সীমিত বলেই মনে হলো।
মাড়িয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আমবাগানের মালিক ইব্রাহিম বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহীর আমের সঙ্গে খেজুরের অনেকটা মিল রয়েছে। কারণ আম ধরা থেকে শুরু করে পাকা অবধি খেজুরের রয়েছে যথেষ্ট মিল। বরাবরই খেজুরের আগে আম পাকে। সেই আম বাজারজাত করা হয়। একইভাবে কিছুটা কমবেশ সময়ের মধ্যে খেজুরও পাকতে শুরু করে। তবে সেটা আমের তুলনায় কিছুটা দেরিতে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
শাহাবুল নামের এক শ্রমিক বাংলানিউজকে জানান, আমের পর রাজশাহীর আরেক ঐতিহ্য খেজুরকে বলা যায়। সড়কের দু’ধার এবং বিভিন্ন জমিতে ব্যক্তি উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ খেজুর গাছ লাগানো হয়েছে। প্রায়ই গাছেই খেজুর ধরেছে।
শাহাবুলসহ একাধিক শ্রমিক জানান, বেশিরভাগ গাছের খেজুর পেকেছে। পুরো পাকতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। এরপর নিয়ম মেনে খেজুরের থোকা কাটা শুরু হবে। দেশজুড়ে আমের পাশাপাশি সরবরাহ হবে দেশীয় এই খেজুরও।
বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
এমবিএইচ/এইচএ/