শনিবার (২ জুন) সকালে ‘আমের দেশে নতুন বেশে’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।
**৭ কোটি আমে ফ্রুট ব্যাগিং, রফতানিতে কুয়াশা
শামীম বলেন, ফ্রুট ফ্লাই সবচেয়ে ক্ষতিকর আমের জন্য। এটা হয় বৃষ্টিপাতের কারণে। মাছি পোকার আক্রমণের কারণেই ফ্রুট ব্যাগিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এবার কিন্তু ৭ কোটি ব্যাগিং হয়েছে। এখন পর্যন্ত কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। চায়না থেকে নিম্নমানের ব্যাগ আমদানি করছে। এতে অনেক কৃষক প্রতারিত হচ্ছেন। কোনো নীতিমালা নেই।
‘কন্ট্রাক ফার্মিং কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে না। আম নেওয়ার কথা বলে আর আসে না এক্সপোর্টাররা। এখন পর্যন্ত বলতে পারছি না এবার আম রপ্তানি হবে কি হবে না। ইউরোপে যেন রাজশাহী ও চাঁপাই ছাড়া অন্য কোথাও থেকে রপ্তানি না হয়। কেননা, এই দুই জেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি ইনভলব আম চাষে। কৃষকের ভাগ্যের যেন উন্নয়ন হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে কন্ট্রাক সাইন করানো হয়। দাগ থাকলেই ওরা নেয় না। অথচ ওরা কিন্তু কোনো টেস্ট করে না। এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিত। ’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন বাংলানিউজের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল, আম চাষি ও ব্যবসায়ী খন্দকার মনিরুজ্জামান মিনার, রাজশাহী অ্যাগ্রো ফুড প্রডিউসার সোসাইটির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক, আম গবেষক ও লেখক মো. মাহাবুব সিদ্দিকী, আম চাষি ও ব্যবসায়ী (বাঘা) মো. জিল্লুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এসসিডি/এমবিএইচ/ইইউডি/এসএম/এমআই/ জেডএস/এএ