মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের সামনে ছিল ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। এসময় পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারতে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন পুলিশদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
চাকরিজীবী খুলনার বরুণ সাহা বুধবার সকালে তার বন্ধুদের সঙ্গে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনে বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি চাকরি করি। তাই ঘুরে বেড়ানোর সময় পাই না। এবার ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়ায় ভারতে বেড়াতে যাচ্ছি। কয়েকজন আত্মীয় আছে। এ সুযোগে তাদের সঙ্গে দেখাও হবে, বেড়ানোও হবে।
চট্টগ্রামের আমদানিকারক রাকিব আহম্মেদ জানান, কয়েক মাস যাবত তিনি অসুস্থতায় ভুগছেন। আত্মীয়রা তাকে বলেছেন ভারতে গিয়ে ভালো চিকিৎসা নিতে। কিন্তু কাজের ব্যস্ততার কারণে এতোদিন সময় হয়ে ওঠেনি। এবার লম্বা ছুটিতে তিনি পরিবার নিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন।
চিকিৎসা শেষে সময় পেলে ভারতের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরবেন বলেও ঠিক করেছেন তিনি।
এদিকে ভারতগামী যাত্রী অনিতা রায় জানান, ইমিগ্রেশন ও সোনালী ব্যাংকে জনবল কম থাকায় তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যাত্রী যাতায়াত বাড়লেও এসব প্রতিষ্ঠানে জনবল বাড়ছে না।
বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভারত ভ্রমণের চাপ অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ভারত থেকেও আসছেন অনেকে। যাত্রীদের যাতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় এ কারণে ইমিগ্রেশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য ঈদের ছুটির মধ্যেও জনবল বাড়িয়ে কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এজেডএইচ/এএ