বৃষ্টিস্নাত বিকেল বেলা চারদিকে শীতল বাতাস। কাশবনের ফাঁকে ফাঁকে প্রিয়জনের সঙ্গে একটু হাঁটাহাঁটি মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির সৌন্দর্যকে কেনা দেখতে চায়।
তবে কুমার নদী তীরে হাউজিং প্রজেক্টকে অস্থায়ীভাবে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে নিয়েছে মাগুরাবাসী। ভাদ্রের এই সময়ে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে একটু ভিজে প্রশান্তির নির্মল বাতাস শরীরে লাগাতে শত শত মানুষ এখানেই ছুটে আসে।
ঈদের ছুটির দিনের এক বিকেলে মাগুরা শহরের কোল ঘেঁষে কুমার নদী ও নবগঙ্গা নদীর পারনান্দুয়ালী এলাকায় গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা যায়।
কুমার নদীর পাড় এখন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে বিনোদন প্রেমীদের ভিড় এখানে ততই বাড়ছে।
নদীর পাড়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরায় বিনোদন কেন্দ্রে নেই বললেই চলে। কোথাও একটু বেড়ানোর মতো জায়গা নেই। তাই পরিবার নিয়ে কুমার নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার খুবই ভালো লাগে।
তিনি বলেন, মাগুরায় স্থায়ীভাবে কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। আর তাই মাগুরাবাসীর বাধ্য হয়ে কুমার নদীর পাড় হাউজিং প্রজেক্টকে অস্থায়ী বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। এখানকার মানুষের মানসিক শান্তির জন্য স্থায়ীভাবে বিনোদন কেন্দ্রের খুবই প্রয়োজন।
স্থায়ীভাবে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা দাবি জানান এএসপি তারিকুল ইসলাম।
পারনান্দুয়ালী এলাকার বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা শহরের কোথাও ভালো কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় কুমার নদীর তীরে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠেছে বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিদিন শহর থেকে এখানে মানুষ ছুটে আসে একটু প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে। কুমার নদীর পাড় দিয়ে হাঁটলে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব হয়।
মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা স্থায়ীভাবে বিনোদন কেন্দ্র নিমার্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে নদীর পাড় দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ নানা রকম বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৮
জিপি