এটি মূলত পারিবারিক ও কর্পোরেট পিকনিকের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা। এখানে আছে বনভোজন কেন্দ্র, লেকে মাছ ধরা ও বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং কটেজে অবকাশযাপনের সুযোগ।
যেভাবে যাবেন: রিসোর্টটি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের গোপালখালী গ্রামে ৭ একর জমির উপর অবস্থিত। এটি খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে বাস, মাইক্রোবাস, ইজিবাইকসহ যে কোন যানবাহনে সড়ক পথে এখানে যাওয়া যায়। এছাড়া যে কোন জায়গা থেকে নদীপথেও আসা যায়।
রিসোর্টে যেসব সুবিধা পাবেন: রিসোর্টে রয়েছে রেস্ট হাউজ, মেন্যু অনুযায়ী খাবার সরবরাহ, ক্যান্টিন, পিকনিক স্পট, নৌকা ভ্রমণ, মিনি শিশু-পার্ক, মিনি চিড়িয়াখানা, রিভার ভিউ, লেকে সাঁতার কাটা ও গোসল করার সুব্যবস্থা, ফুল ও ফলের বাগান, সুবিশাল খেলার মাঠ, ডেকোরেটরের সব মালামাল, আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং, দক্ষ বাবুর্চি, সার্ভিসের জন্য দক্ষ লোকবল, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও পানি, ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা, পানির জার ও তুষকাঠ, পার্কিং সুবিধা।
মুগ্ধ দর্শনার্থীরা: নানান গাছ-গাছালিতে ঘেরা এ রিসোর্টে আছে শান বাঁধানো পুকুর, লেকে নৌকায় বেড়ানোর ব্যবস্থাসহ অবকাশ যাপনের জন্য কটেজ। বড়রা এতে বেড়িয়ে যেমন মুগ্ধ হন তেমনি ছোটরা মিনি শিশু-পার্কের বিভিন্ন খেলনায় চড়ে বেশ আনন্দ পায়। এছাড়া মিনি চিড়িয়াখানায় বানর, বিদেশি কুকুর, পাখি, কবুতর, তীত পাখি, ঘোড়া দেখে ছোটরা খুব মজা করে। গ্রামের আবহের মধ্যে কৃত্রিম শৈল্পিকতার নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি করা বক, ব্যাঙ, ডায়নোসর, মাছরাঙ্গা পাখি, কুমির দেখে ছোটরা খুব মজা পায়।
শিয়ালী ডাঙ্গা থেকে ঘুরতে আসা স্কুল ছাত্র আজিজ ও সৌকত বলেন, চিড়িয়াখানার বানর, পাখি, কবুতর দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। পার্কের অনেক খেলনায় চড়ে মজা পেয়েছি।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা খুলনার সাতরাস্তার মোড়ের শামীম হোটেলের মালিক শামীম হোসেন বায়লানিউজকে বলেন, পরিপূর্ণ গ্রামীণ আমেজের এ রিসোর্টে পরিবার নিয়ে ঘুরে ভীষণ মজা পেয়েছি। খুলনা জেলায় এ ধররের রিসোর্ট আছে না আসলে বুঝতে পারতাম না।
ভাড়া ও অন্যান্য: ওয়াই সি রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক কর্নারের পরিচালক এস এম শরিফুল হাসান সুমন বাংলানিউজকে বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোলঘেঁষে পশুর নদীর পাশে সবুজগাছের ছায়ায় ঘেরা ও মাছে পরিপূর্ণ ছয়টি লেকসহ ওয়াই সি রিসোর্ট অ্যান্ড পিকনিক কর্নার অবস্থিত। যারা সুন্দরের পুজারি এবং শান্তিপ্রিয় বনভোজনে উৎসাহী তাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনমুগ্ধকর জায়গা। বন্ধু বান্ধব ও পরিবার পরিজনদের সঙ্গে বনভোজন এবং সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এটি একটি অসাধারণ জায়গা। এখানে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
তিনি জানান, রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে নিজেদের লেকের টাটকা মাছ পাবেন। শাকসবজি, গরু, দেশি মুরগি, মাংসও পাবেন। মৌসুমি ফলফলাদিও মিলবে। রাত্রীযাপনের জন্য শ্রেণীভেদে ২,৫০০ টাকা থেকে ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় আধুনিক রুম রয়েছে। আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমও। রিসোর্টের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। লেকে দর্শনার্থীরা নিজে মাছ ধরে বার-বি-কিউ করতে পারবেন। যে কেউ চাইলে লেক থেকে মাছ ধরে বাড়িতে নিয়েও যেতে পারেন।
যোগাযোগের জন্য ফোন করতে পারেন ০১৭৭৪০৮৮৮৮৮ নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস